আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুটো ম্যাচের ফলাফল বদলে দিতে চান রাহুল দ্রাবিড়। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে উপস্থিত থেকে সেই দুটো ম্যাচের বিষয়ে তিনি বলেছেন।
কোন দুটো ম্যাচের কথা তিনি বলেছেন? একটি ১৯৯৭ সালের বার্বাডোজে অনুষ্ঠিত টেস্ট। সেই টেস্টে হার মেনেছিল ভারত। আরেকটি ২০০৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনাল।
দ্রাবিড় বলেছেন, ''১৯৯৭ সালে আমার প্রথম সফরে বার্বাডোজে অনুষ্ঠিত টেস্টে আমরা হেরে গিয়েছিলাম। কঠিন পিচে আমাদের ১২০ রান তাড়া করতে হত। কিন্তু আমরা ৮০ রানে শেষ হয়ে যাই। সিরিজের ফলাফল ছিল ১-০। ওই ম্যাচটা আমরা জিতলে সিরিজ জিতে নিতাম। আর ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের রেজাল্ট বদলে ফেলতে চাই। আমরা টস জিতে ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। অস্ট্রেলিয়া দুর্দান্ত ব্যাটিং করে। যদি ম্যাচের রেজাল্টটা বদলে ফেলতে পারতাম।''
বার্বাডোজ টেস্টে ভারত ১২০ রান তাড়া করতে নেমে ৮০ রানে শেষ হয়ে যায়। আর ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ৩৫৯ রানের টার্গেট দেয় ভারতকে। ভারত ২৩৪ রানে শেষ হয়ে যায়।
এর আগে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউবে দ্রাবিড়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, ''আমি চন্দ্রশেখরের নেতৃত্বে খেলা উপভোগ করেছি। আমার কেরিয়ার সদ্য শুরু হয়েছে সেই সময়ে। তামিলনাড়ুর হয়ে তাঁর নেতৃত্বে লিগ ক্রিকেট খেলার সময়ে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।''
বার্বাডোজ ও ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের সময়ে দ্রাবিড় ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন না। পরে তিনি জাতীয় দলের অধিনায়ক হন। সেই সময়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জাতীয় দলের কক্ষপথ থেকে তখন ছিটকে গিয়েছেন। গ্রেগ চ্যাপেলকে ভিলেন ঠাউরেছে গোটা দেশ। তাঁর উপরে মারাত্মক ক্ষিপ্ত সাধারণ দর্শককূল। এরকম আবহেই ইডেনে ওয়ানডে খেলতে নামে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের নেতৃত্ব তখন রাহুল দ্রাবিড়ের হাতে।
সেই ওয়ানডে-তে ইডেন গলা ফাটিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে। ঘরের ছেলে সৌরভকে ইচ্ছাকৃত ভাবে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, ইডেন তা মানবে কেন? ভারত সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৮৮ রান করেছিল। আর দক্ষিণ আফ্রিকা বিনা উইকেটেই তুলে নেয় ১৮৯ রান। ক্যাপ্টেন রাহুল দ্রাবিড় পরে বলেছিলেন, "দেশে নাকি দেশের বাইরে খেলছি, বুঝতেই পারিনি।"
ডেনে ওয়াসিম আক্রম একের পর এক রিভার্স সুইং করাচ্ছেন। রাহুল দ্রাবিড় যেন নেট করছেন। বল ছাড়ছেন। বলের লাইনে পৌঁছে যাচ্ছে তাঁর শরীর। কী সুন্দর ব্যালান্স। ভারসাম্য হারাচ্ছেন না দ্রাবিড়। হঠাৎই আক্রমের একটা বল রাহুল দ্রাবিড়ের ব্যাট এড়িয়ে তাঁর অফস্টাম্পে চুমু খেয়ে চলে গেল। দ্রাবিড় স্তম্ভিত। নিজেও বুঝতে পারছেন না, তাঁর জমাটি ডিফেন্স ভেদ করে বল কীভাবে গলে গেল। আউট দ্রাবিড়। পাকিস্তান দল উদযাপন করছে। সেই আক্রম প্রসঙ্গে দ্রাবিড় বলেছেন, ''ওয়াসিম আক্রমকে যাঁরা কেরিয়ারের শুরুর দিকে খেলেছে, তাঁরা বলেছে আক্রম অন্য ধরনের বোলার ছিল। আমি সেটা আন্দাজ করতে পারি। শেষ সময়েও ওয়াসিম আক্রম দুর্দান্ত ছিল।'' ওয়াসিম আক্রম শর্ট রান আপে বলকে কথা বলাতেন। পাক তারকার রিভার্স সুইং যে কোনও ব্যাটারের ডিফেন্স ভেঙে দিত। আক্রমের প্রশংসা দ্রাবিড়ের মুখে।
এহেন রাহুল দ্রাবিড় ভারতের প্রাক্তন অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউবে উপস্থিত থেকে বলেছেন, দুটো ম্যাচের ফলাফল যদি বদলে দেওয়া যেত তাহলে বার্বাডোজ টেস্ট ম্যাচ ও ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের ফলাফল বদলে দিতেন। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারত শোচনীয় ভাবে ছিটকে গিয়েছিল। সেই বিশ্বকাপের কথা কিন্তু বলেননি দ্রাবিড়।
আরও পড়ুন: কেরলে মেসিদের প্রতিপক্ষ কোন দল? ২০ কিমি রোড শোয়ের আয়োজন, যুবরাজ-বরণের জন্য তৈরি হচ্ছে কেরল...
