আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইপিএলের নিলামে দল না পাওয়ার পর হঠাতই চর্চায় চলে আসেন পৃথ্বী শ। তাঁর সঙ্গে বিনোদ কাম্বলির তুলনা টানা হয়। একদিন যেতে না যেতেই প্রতিভাবান ক্রিকেটারের একটি পুরনো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে ট্রোলিং নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। জানান, ক্রিকেট জীবনে একাধিকবার ট্রোল করা হয়েছে তাঁকে। বিভিন্ন মিম‌ও বানানো হয়। অধিকাংশ ক্রিকেটার দাবি করেন, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে তাঁদের কোনও মাথাব্যথা নেই। কিন্তু এই বিষয়ে একটু আলাদা পৃথ্বী। জানান, ইন্টারনেটে সবকিছুতে তাঁর নজর থাকে। তাঁকে নিয়ে যাবতীয় ট্রোল বা মিমও দেখেন। পৃথ্বী বলেন, 'কেউ যদি আমাকে ফলো না করে, তাহলে কীভাবে ট্রোল করবে? তারমানে সে আমার দিকে নজর রাখছে। তাই আমার মনে হয়, ট্রোলিং ভাল না হলেও, খারাপও না। আমরা ক্রিকেটার এবং অন্যান্যদেরও ট্রোল হতে দেখি। আমাকে নিয়ে যাবতীয় ট্রোল, মিম সবই আমি দেখি। কখনও সেটা আঘাতও করে। আমাকে দেখা গেলেই লোক ভাবে, আমি প্র্যাকটিসের বাইরে। কিন্তু আমার কি নিজের জন্মদিনও পালন করার অধিকার নেই? আমি ভাবছিলাম, আমি কী ভুল করেছি। যদি কোনও ভুল না করে থাকি, তাহলে সেটা এইভাবে দেখানো উচিত না।' 

আইপিএলের মেগা নিলামে অবিক্রিত থাকেন ভারতীয় ওপেনার। সোমবার দু'বার নিলামে তাঁর নাম ডাকা হয়। বেস প্রাইজ মাত্র ৭৫ লক্ষ হওয়া সত্ত্বেও তাঁর জন্য একটিও প্যাডেল উঠেনি। বিড করাই হয়নি। পৃথ্বীর জন্য যা লজ্জার। মহম্মদ কাইফ মনে করেন, যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাঁকে, কিন্তু তার সদ্ব্যবহার করতে পারেননি। কাইফ বলেন, 'দিল্লি পৃথ্বী শকে যথেষ্ট সমর্থন করেছে। ওকে পাওয়ার প্লের প্লেয়ার ভাবা হতো। ওর এক ওভারে ছ'টা চার মারার ক্ষমতা ছিল। সেটা করেও ছিল। শিবম মাভির এক ওভারে ছ'টা চার মারে। ওর দক্ষতা এবং ক্ষমতা, দুটোই ছিল। আমরা সবসময় ভাবতাম, পৃথ্বী রান পেলে আমরা জিতব। সেই জন্য ওকে অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেনি। ৭৫ লক্ষতে ওর মতো প্লেয়ারের একটাও বিড না পাওয়া লজ্জার। হয়তো এবার ও বুঝতে পারবে।' পৃথ্বী শয়ের‌ মতো একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ নষ্ট হোক চায় না ক্রিকেটমহল। দ্বিতীয় কাম্বলি চায় না ভারতীয় ক্রিকেট।