আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। 

সেই বিশ্বকাপে এবার দেখা যাবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকেও। 

জিতলেই বিশ্বকাপের ছাড়পত্র মিলে যাবে। এই পরিস্থিতিতে পোর্তোয় বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে পর্তুগাল ৯-১ গোলে মাটি ধরায় আর্মেনিয়াকে।  খেলার ৭ মিনিট থেকে শুরু হয় গোলবর্ষণ। সময় যত গড়ায় গোলের সংখ্যা ততই বাড়তে থাকে পর্তুগিজদের। 

৭ মিনিটে রেনাতো ভেইগা এগিয়ে দেন পর্তুগালকে। ১৮ মিনিটে সমতা ফেরায় আর্মেনিয়া। তারা গোল শোধ করায় গোটা স্টেডিয়াম বিস্মিত হয়ে যায়। 

 লাল কার্ড দেখায় মাঠে নামেননি রোনাল্ডো। ওই গোল হজম করার পরে পর্তুগাল ঝাঁপিয়ে পড়ে। ৯টি গোল করল পর্তুগাল। আর্মেনিয়াকে বিধ্বস্ত করায় ২০২৬ সালে নবমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে নামবে পর্তুগাল। 

পর্তুগিজদের জয়ে জোড়া হ্যাটট্রিক করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও জোয়াও নেভেস। 

বাকি তিনটি গোল করেন রেনাতো ভেইগা, গনসালো রামোস ও ফ্রান্সিসকো কনসেইসাও। 

পর্তুগাল রয়েছে এফ গ্রুপে। গ্রুপ থেকে  চ্যাম্পিয়ন হয়ে সরাসরি বিশ্বকাপে গেল তারা। ছ'টি ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জয় পাওয়া পর্তুগালের পয়েন্ট ১৩। 

আন্তর্জাতিক ফুটবলে পর্তুগালের এটাই দ্বিতীয় বড় জয়। ২০২৩ সালে ইউরোর বাছাইপর্বের ম্যাচে লুক্সেমবার্গকে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল পর্তুগাল। এটাই তাদের ফুটবল ইতিহাসে সব থেকে বড় জয়। 

পর্তুগালের ভাগ্য শেষ ম্যাচ পর্যন্ত ঝুলে ছিল। হাঙ্গেরিতে ড্র করেছিল তারা। আয়ারল্যান্ডের কাছে হার মানে পর্তুগাল। ফলে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত আশা বেঁচে ছিল মেরুণ জার্সিধারীদের। শেষ ম্যাচে রোনাল্ডো আবার লাল কার্ড দেখায় আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে নামতে পারেননি রোনাল্ডো। তবুও পর্তুগিজদের থামানো যায়নি। গোল বর্ষণ চলতেই থাকে।