আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্র বিকেলে জিতলে খেতাব প্রায় নিশ্চিত করে ফেলত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু মহমেডানের কাছে আটকে যায়। হারতেও পারত লাল হলুদ। কিন্তু অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরে নিজেদের ভাগ্যবান মনে করবেন বিনো জর্জ। দুই দলের মধ্যে আধিপত্য বেশি ছিল সাদা কালো ব্রিগেডের। একটা সময় সাঁড়াশির মতো চেপে ধরে ইস্টবেঙ্গলকে। দল যে ভাল খেলতে পারেনি মেনে নেন ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র দলের কোচ। তবে ড্রয়ে বাড়তি চিন্তিত নয়। বিনো জর্জ বলেন, 'সব ম্যাচে ভাল খেলা সম্ভব হয় না। কখনও এমন হয়। সুপার সিক্সের দলের বিরুদ্ধে খেলা সহজ নয়। সব দলই শক্তিশালী। মিনি ডার্বিতে ওরা সবসময় ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানকে হারাতে চায়। আগের ম্যাচের তুলনায় আমরা ভাল খেলতে পারিনি। আমরা ১৭ তারিখে খেলেছি। মাঝে মাত্র দু'দিন কেটেছে। তাই ছেলেরা খুব বেশি বিশ্রাম পায়নি।'
অঙ্ক খুব সহজ। শেষ দুই ম্যাচ থেকে প্রয়োজন তিন পয়েন্ট। অর্থাৎ, একটা জিতলেই হবে। বিনোর দাবি, অঙ্ক নিয়ে ভাবছেন না। অপরাজিত তকমা ধরে রাখাই লক্ষ্য। বিনো বলেন, 'অঙ্ক কষছি না। ম্যাচ প্রতি এগোতে চাই। আমরা এখনও হারিনি। সেই অপরাজিত তকমা ধরে রাখতে চাই। প্লেয়ারদের মোটিভেট করার চেষ্টা করছি। পরের ম্যাচ খুবই গুরুত্বপুর্ণ। আমাদের তিন পয়েন্ট লাগবে। তবে কলকাতা লিগে যা কিছু হতে পারে।' পরের ম্যাচেই ডায়মন্ড হারবারের মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল। কার্যত কলকাতা লিগের ফাইনাল। কারণ এই দুই দলই খেতাব লড়াইয়ে রয়েছে। পাখির চোখ চ্যাম্পিয়ন হওয়া হলেও, আরও দূরের কথা ভাবছেন লাল হলুদের রিজার্ভ দলের কোচ। বিনো বলেন, 'ডায়মন্ড হারবার এবং ভবানীপুরের বিরুদ্ধে আমাদের খেলা বাকি আছে। ভবানীপুরের সঙ্গে এর আগে আমরা জিতেছি। আমাদের খেতাব জিততে হবে। বহুদিন ধরে ইস্টবেঙ্গল কলকাতা লিগ জেতেনি। সেটা আমি জানি, আমার দলও জানে। তবে আমাদের লক্ষ্য শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ভাল পারফর্ম করা। এদের বিরুদ্ধে ভাল খেলতে পারলে সিনিয়র দলের দরজা খুলে যাবে। ইস্টবেঙ্গল সিনিয়র দলের প্রাধান্য বেশি। এই দল থেকে আইএসএলে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে জুনিয়রদের। আমাদের সবচেয়ে বেশি প্লেয়ার প্রমোট করা হয়।'
ম্যাচ শেষে রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মহমেডানের কোচ। হাসান বলেন, 'কলকাতা লিগে রেফারিং নিয়ে খুশি নই। শুধুমাত্র একজন রেফারি নয়, একাধিক উদাহরণ দিতে পারব। যেমন সাদার্ন সমিতি, পাঠচক্র ম্যাচ। আপনারা ম্যাচগুলো দেখতে পারেন। কলকাতা লিগে জঘন্য রেফারিং হচ্ছে। ফুটবলে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাইলে রেফারিং ভাল হতে হবে। আশা করব ভবিষ্যতে রেফারিংয়ের মান উন্নত হবে।' একজন, দু'জন ছাড়া দলের সব প্লেয়ারই জুনিয়র। তরুণ ব্রিগেডের এই পারফরম্যান্সে খুশি সাদা কালোর কোচ। হাসান বলেন, 'আমরা ভাল খেলেছি। লিগের সবচেয়ে ভাল ম্যাচগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমাদের তরুণ দল। ২০০৮ সালে যারা জন্মেছে তাঁরা খেলছে। তাসত্ত্বেও প্লেয়াররা দারুণ খেলেছে। এর থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।' আগামী বুধবার ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে নামবে ইস্টবেঙ্গল। সেটাই কার্যত কলকাতা লিগের ফাইনাল।
