আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাক ক্রিকেটে আকর্ষণীয় চরিত্র আজম খান। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার মইন খানের ছেলে তিনি। সেই কারণেই তাঁর উপরে সব সময়ে প্রচারের সার্চলাইট। ২০২১ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে আজম ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। একটি পঞ্চাশও করেননি তিনি। উইকেট কিপারের ফিল্ডিং দক্ষতা নেই বললেই চলে। ফিটনেস নিয়েও চূড়ান্ত সমালোচিত হয়েছেন। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য আর ডাক পাননি আজম খান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান সেমিফাইনালেও পৌঁছতে পারেনি। 

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন আজম খান। ২০২৪ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর  পারফরম্যান্স ছিল হতশ্রী। আজম খান বলেন, ''মার্ক উড আমাকে প্রথম বাউন্সারটি দেয়। আমি তা ছেড়ে দিয়েছি। মনে মনে বলছিলাম, ঠিক আছে, বুদ্ধিটা ঠিকই আছে। আমাদের কাছেও ঘণ্টায় দেড়শো কিমি বেগে বল করার বোলার রয়েছে। দ্বিতীয় বলটাও যখন বাউন্সার দিল উড, আমার মনে হল, আরে কী হল এটা আমার সঙ্গে? আমার জীবন কয়েক মুহূর্তের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমার সঙ্গে কী হল, এই চিন্তা আমাকে গ্রাস করেছিল।'' 

আজম খান বলে চলেন, ''আমার আঙুলগুলো আহত হয়। বুঝে গিয়েছিলাম আমি আউট। ওভালের দর্শকরা গালাগাল শুরু করে দেয় আমাকে। এক পাকিস্তানি সাংবাদিক মদ্যপ এক ইংরেজকে জিজ্ঞাসা করেছিল, তোমার পছন্দের ক্রিকেটারের নাম কী? সেই ইংরেজ বলেছিল, আজম খান, ও ব্যাট করতে পারে না। ফিল্ডিং করতে পারে না। এটা আমাকে ভিতরে ভিতরে ভেঙেচুরে শেষ করে দিয়েছিল। মনে হচ্ছিল, আমার কি ইজ্জত? সহজ ক্যাচও আমি ছেড়েছিলাম। চোখ দিয়ে জল ঝরছিল। আমার মনে হচ্ছিল, কী হচ্ছে আমার সঙ্গে?'' 

আজম খান যে ম্যাচের প্রসঙ্গ উত্থাপ্পন করেছেন, সেই ম্যাচে পাকিস্তান ১৯.৫ ওভারে ১৫৭ রানে আউট হয়ে গিয়েছিল। রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড ১৫.৩ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয়।