আজকাল ওয়েবডেস্ক: অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাস। হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন অস্কার ব্রুজো। স্প্যানিশ কোচের চোখে মুখেই যা স্পষ্ট। টানা হারের পর যেদিন ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল, অস্কারকে দেখে সেদিনটা মনে পড়ে যেতে বাধ্য। হারের হ্যাটট্রিকের পর শূন্য থেকে শুরু করেন। জিকসন সিং, নাওরেম মহেশের পজিশন বদলে ফাটকা খেলেছিলেন। হারলেই কপালে গালিগালাজ জুটত। কিন্তু শুক্রবারের রাতটা ছিল ব্রুজোর। সবকিছু ঠিকঠাক হয়। এমন দিন আজকাল খুব কমই আসে লাল হলুদে।‌ তাই জয়ে ফিরতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই সন্তুষ্ট। অস্কার বলেন, 'গত কয়েক সপ্তাহে আমাদের ভুগতে হয়েছে। মোহনবাগান, গোয়া, মুম্বইয়ের মতো আইএসএলের সেরা ক্লাবগুলোর সঙ্গে আমরা ভাল লড়াই করেছি। কিন্তু এখানে খালি পকেট নিয়ে নেমেছিলাম। ধারাবাহিকতার ফল মিলল। আমরা মাঝমাঠ কন্ট্রোল করেছি। প্রথম ১০ মিনিট একটু নড়বড়ে ছিলাম। শেষ ১৫ মিনিট আমাদের ওপর ওরা চাপ সৃষ্টি করে। তবে ছেলেরা সুন্দর ফুটবল খেলেছে। এবার মুম্বই ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হবে।'

প্রত্যেক ম্যাচে উন্নতি করছেন বিষ্ণু। তাঁকে জাতীয় দলে খেলানো নিয়ে ইতিমধ্যেই মানোলো মার্কুয়েজের সঙ্গে কথা বলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। এই প্রসঙ্গে অস্কার বলেন, 'গত সপ্তাহে বিষ্ণুকে নিয়ে আমার জাতীয় দলের কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে। ও দেশের হয়ে খেলার দাবিদার। বাকিটা কোচের ওপর। ও ফর্মে আছে। শুধু আমাদের ক্লাবের জন্য নয়, গোটা আইএসএলে। আমাদের ওকে সমর্থন করতে হবে। ওর ভারতীয় ফুটবলকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে।' এদিন প্রচুর ওয়ার্কলোড নেন ক্লেইটন‌ সিলভা। আপফ্রন্টের সঙ্গে মাঝমাঠের সংযোগ বজায় রাখেন ব্রাজিলীয়। ক্লেইটনের প্রশংসা করেন অস্কার। একইসঙ্গে মহেশ এবং জিকসনের খেলায় খুশি। এদিন মাঝমাঠে শৌভিকের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন নাওরেম। চিরাচরিত পজিশন বদলে রাইটব্যকে খেলান জিকসনকে। দু'জনেই নতুন পজিশনে নজর কাড়েন।‌ রিচার্ড সেলিসের খেলায়ও খুশি। তবে ইস্টবেঙ্গল কোচ জানান, এখনও সম্পূর্ণ তৈরি হয় ভেনেজুয়েলান। অস্কার বলেন, 'রিচার্ডের এটা ৭০-৮০ শতাংশ পারফরম্যান্স। ফেব্রুয়ারিতে ওর থেকে একশো শতাংশ পাব। আমি ওকে তুলে নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ও মাঠে থাকতে চায়। এটাই ওর দায়বদ্ধতার পরিচয়। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ওজন বুঝে গিয়েছে।' পরের ম্যাচ মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচেও সল ক্রেসপো, মহম্মদ রাকিপ, প্রভাত লাকরার খেলার সম্ভাবনা কম। ফেব্রুয়ারির আগে তাঁদের পাওয়ার আশা দেখছেন না ব্রুজো।‌