আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিজের সেরা সময়ে এমবাপের সঙ্গে দৌড়তে পারলে ভাল লাগত। আমার কতটা কাছে আসতে পারত এমবাপে, সেটা দেখতাম। এমবাপে বল ছাড়া ১০০ মিটারে দৌড়ন ১০.৯ সেকেন্ডে। আর বোল্ট দৌড়েছেন ৯.৫৮ সেকেন্ডে। সেই রেকর্ড এখনও অক্ষত।
আরেক জামাইকান কিংবদন্তি ক্রিস গেইল রসিকতা করে বলেছিলেন, আমাকে ভয় পায় বোল্ট। এই কারণে আমার সঙ্গে ১০০ মিটার দৌড়তে চায় না। আমি ওকে সহজেই হারাব। ক্যারিবিয়ান দৈত্যর চ্যালেঞ্জ ছিল বোল্টকে। সেই বোল্ট যা বলেছেন, তা শুনলে কিন্তু খারাপ লাগারই কথা।
আরও পড়ুন: হুমকিই সার! যত গর্জাল তত বর্ষাল না পাকিস্তান, এশিয়া কাপ খেলতে থেকে গেল আমিরশাহিতেই ...
জামাইকান দৌড়বীর এখন সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলে হাঁফাতে থাকেন। ভাবা যায়! বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্প্রিন্টারের এই দুরবস্থা কী করে? বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ দেখতে গিয়েছেন বিদ্যুৎ বোল্ট। ২০১৭ সালে অবসর নেওয়ার পরে এই প্রথমবার অ্যাথলেটিক্সের বড় কোনও মঞ্চে দেখা গেল তাঁকে। বোল্ট বলেছেন, '' কাজ না থাকলে ঘরে বিশ্রাম নিই। কখনও ব্যায়াম করি। কখনও সিরিজ দেখি। বাচ্চারা স্কুল থেকে ফিরে এলে ওদের সঙ্গে সময় কাটাই।''
স্প্রিন্টের কিংবদন্তির সংযোজন, ''না। এখন দৌড়তে আর ভাল লাগে না। এখন মনে হচ্ছে শুরু করতে হবে। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে গেলে হাঁপিয়ে পড়ি। এখন জিমে বেশি সময় দিই। পুরোদস্তুর ওয়ার্ক আউট শুরু করলে দৌড়তে হবে।''
২০১২ সালের ৯ আগস্ট জামাইকান স্প্রিন্টার কিংবদন্তি হয়ে গিয়েছেন। লন্ডন অলিম্পিকে ১০০ মিটার জয়ের পর সাংবাদিক বৈঠকে বোল্ট চার দিন পরের ২০০ মিটার স্প্রিন্টের প্রসঙ্গ উত্থাপ্পন করে বলেছিলেন, ওটা জিতলেই আমি কিংবদন্তি হয়ে যাব। ২০০ মিটারে বিশ্ব রেকর্ড ছিল ১৯.১৯ সেকেন্ড। বোল্টের সময় ছিল ১৯.৩২ সেকেন্ড। হয়তো সেই রেকর্ডটাও ভেঙে ফেলতে পারতেন বোল্ট। ১৫ মিটার বাকি থাকতেই চারপাশে তাকাতে শুরু করে দেন। ঠোঁটে আঙুল রেখে শেষটা করেন তিনি। তার পরে সাংবাদিক বৈঠকে একাধিকবার নিজেকে সেরা আর শ্রেষ্ঠ বলেন। বোল্ট কিংবদন্তি হয়েছেন। তিনি আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্ব খর্ব করে জামাইকার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। সেই কিংবদন্তিরই এখন সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে কষ্ট হয়।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ বয়কট করলে বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ত পাকিস্তান, টাকার অঙ্ক শুনলে মাথা ঘুরে যাবে
