আজকাল ওয়েবডেস্ক: অলিম্পিকের আটবারের স্বর্ণপদকজয়ী স্প্রিন্টার উসেইন বোল্ট জানালেন, তাঁর স্বপ্নের রিলে টিমে থাকবেন ভারতীয় ক্রিকেট সুপারস্টার বিরাট কোহলি। বর্তমানে ভারত সফরে রয়েছেন বোল্ট, যেখানে নানা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন তিনি। ক্রিকেটের প্রতি তাঁর বরাবরেরই আগ্রহ। বোল্ট জানিয়েছেন, প্রথমে ক্রিকেটার হিসেবেই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। পরে সেখান থেকে সরে এসে বেছে নেন অ্যাথলেটিক্সকে। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বোল্টকে স্বপ্নের রিলে টিম গঠন করতে বলা হলে তিনি বিরাট কোহলির নাম নেন। বোল্ট বলেন, ‘আমরা এই নিয়ে কথা বলছিলাম। আমি মনে করি বিরাট কোহলির থাকা উচিত। বিরাট অবশ্যই দ্রুতগতির খেলোয়াড়। বিরাট ছাড়া থাকবে ব্রেট লি এবং আমি শেষে বলব জন্টি রোডসের কথা।’

বোল্ট জানিয়েছেন, তাঁর ক্রিকেট কোচই তাঁকে স্প্রিন্টিংয়ে নামতে উৎসাহিত করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি তখন দ্রুতগতির বোলার ছিলাম। কোচ আমাকে দৌড়াতে দেখে বলেছিলেন, কেন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে চেষ্টা করছ না? তারপর আমি চেষ্টা করলাম, এবং ভাল পারফর্ম করলাম। প্রতিভা ছিল, সেটাকেই চালিয়ে গিয়েছি,’ বলেন বোল্ট। বোল্ট আরও জানান, যদি কোচ তাঁকে দৌড়ে নামতে না বলতেন, তবে আজ তিনি হয়তো একজন ক্রিকেটারই হতেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা ছিলেন ক্রিকেটের বিরাট ভক্ত। ছোটবেলা থেকেই আমি শুধু ক্রিকেট দেখতাম। ফুটবল একটু দেখেছি, কিন্তু ক্রিকেটই ছিল আমার জগৎ। তাই নিশ্চিতভাবেই আমি ক্রিকেটার হতাম,’ বলেন বোল্ট।

বিরাট, জন্টিদের কথা বলার পাশাপাশি, শচীন তেন্ডুলকরকেও নিজের প্রিয় ক্রিকেটারদের তালিকায় রেখেছেন বোল্ট। তাঁর কথায়, ‘আমি বড় হয়েছি অনেক বিখ্যাত ক্রিকেটারকে দেখে। যেমন, জন্টি রোডস, সর্বকালের অন্যতম সেরা ফিল্ডার। কোর্টনি ওয়ালশ, কার্টলি অ্যামব্রোজ, শচীন তেন্ডুলকর, ব্রায়ান লারা এদের খেলা দেখে আমি বড় হয়েছি। আমি সবার ভক্ত ছিলাম,’ জানিয়েছেন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের রাজা। ২০০৮ বেজিং। ২০১২ লন্ডন। ২০২৬ রিও ডি জেনেইরো। টানা তিন অলিম্পিকে ১০০ মিটারে সোনা জিতেছিলেন জামাইকার উসেইন বোল্ট। বিশ্বের দ্রুততম মানবের তকমা এখনও তাঁর নামে।

কিন্তু এখন সিঁড়ি ভাঙতেও নাকি শ্বাসকষ্ট হয় উসেইন বোল্টের! কিংবদন্তি দৌড়বিদ নিজেই জানিয়েছেন এই সমস্যার কথা। ২০১৭ সালে ট্র‌্যাক থেকে অবসরের পর এখন পুরোপুরি বিশ্রামে বোল্ট। কিন্তু হঠাৎ কী হল যে, রীতিমতো শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন তিনি? একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে বোল্ট বলছেন, ‘আমার তিন সন্তান যখন স্কুলে যায়, তখন আমি ঘুম থেকে উঠি। এমনিতে কিছু করার থাকে না। ইচ্ছা হলে কিছুক্ষণ শরীরচর্চা করি। মাঝে ছবি বা সিরিজ দেখি। তারপর সন্তানরা ফিরে এলে মজা করি।’‌

অলিম্পিকে আটটি সোনাজয়ী তারকা আরও বলছেন, ‘আমি জিমে সময় কাটানো খুব একটা পছন্দ করি না। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে, সেটা শুরু করতে হবে। যখন আমি সিঁড়ি দিয়ে উঠি, তখন দম ফুরিয়ে আসে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা ঠিক করতে এবার দৌড়ের অনুশীলন শুরু করতে হবে মনে হচ্ছে।’‌ অবসরের আগেই বোল্টের অ্যাকিলেস টেন্ডন ছিঁড়ে যায়। যেটা তাঁর দৈনন্দিন জীবনেও প্রভাব ফেলে। তাছাড়া স্কোলিয়াসিস রয়েছে বোল্টের। যার ফলে মেরুদণ্ড বেঁকে যায় এবং এক পা অন্য পায়ের থেকে ছোট হয়ে যায়। এর বাইরে, দীর্ঘদিন অনুশীলনের বাইরে থাকায় তাঁর ফিটনেসও বেশ অনেকটাই কমেছে।