মিল্টন সেন: পাঞ্জাবের যোগা স্পোর্টস ওয়ার্ল্ড কাপে বাংলার জয় জয়কার। বাংলার ১৩ জন প্রতিযোগীর মধ্যে পাঁচটি বিভাগে ৪৫টি পদক জয় করেছে প্রতিযোগীরা।
হরিয়ানার কর্ণালে তিন দিন ব্যাপী এই যোগা প্রতিযোগিতা হয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ছাড়াও জাপান, ভিয়েতনাম, হংকং, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া-সহ একাধিক দেশ যোগদান করে এই প্রতিযোগিতায়।
সিঙ্গুরের নেহা বাগ পাঁচটি বিভাগের মধ্যে চারটি বিভাগে সোনা ও একটি বিভাগে রুপো জেতে। জুনিয়র বিভাগে পূর্বা দাস ৫টি বিভাগে স্বর্ণপদক এনেছে। নেহার বাবা কাঠের কাজ করেন। পূর্বার বাবা বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। দু'জনেরই পারিবারিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়।

তার মধ্যেও একাধিক প্রতিযোগিতা থেকে পদক জয় করেছে তারা। আগামী দিনে অলিম্পিকে অংশ নেওয়াই লক্ষ্য তাদের।
হুগলি, হাওড়া, দমদম বর্ধমান-সহ একাধিক জেলা থেকে ছেলে ও মেয়েরা পদক এনেছে। ১৩ থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলে এই প্রতিযোগিতা। দুশোর উপরে প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করেছিল যোগাসন প্রতিযোগিতায়। বাংলা থেকে জুনিয়ার ও সিনিয়ার বিভাগে ১৩ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়।

দমদমের বেদিয়াপাড়ায় বাড়ি পূর্বা দাসের। সে তিন বছর বয়স থেকে যোগাসন শেখে। নবম শ্রেণির ছাত্রী পূর্বা। একাধিক ন্যাশনাল ও সিঙ্গাপুরে ইন্টার ন্যাশনাল যোগাসন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। পূর্বা বলে, ''আমাদের পারিবারিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। আগে মায়ের গয়না বিক্রি করে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম। এ বছর যোগাসন ওয়ার্ল্ড কাপে বিভিন্ন দেশকে হারিয়ে পাঁচটি বিভাগে সোনার পদক জয় করেছি। সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন রাউন্ডে আরেকটি পদক জয় করেছি। আগামিদিনে আলিম্পিকে অংশ গ্রহণ করতে চাই।'' যোগাসনের পাশাপাশি পড়াশোনা করে ভালো ফল করতে চায় সে।
সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ির নেহা বাগ সিনিয়র বিভাগে একাধিক পদক জয় করেছে। দু'জনের কোচ কোন্নগরের গৌরাঙ্গ সরকার বলেন, ''নেহা, পূর্বা-সহ একাধিক প্রতিযোগী পদক এনেছে এটাই আমার কাছে বড় ব্যাপার।এদের মধ্যে অধিকাংশ প্রতিযোগীর পারিবারিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। প্রত্যেকেই ৫ বছর বয়স থেকে যোগাসন শিখছে। ভালো খেলেও আর্থিক পরিস্থিতির জন্য পিছিয়ে যায় ওরা। দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা হলে সমস্যা হয় না। কিন্তু দেশের বাইরে ভিয়েতনাম বা সিঙ্গাপুর যেতে গেলে প্রচুর খরচ। এরা সরকারি সাহায্য পেলে ভালো হয়।''
