মোহনবাগান - ০
পুলিশ এসি - ১ ( মহম্মদ নঈম)
আজকাল ওয়েবডেস্ক: নৈহাটি স্টেডিয়াম অগ্নিগর্ভ। পুলিশের লাঠিচার্জ। সমর্থকদের বিক্ষোভ। মোহনবাগানের হারের পর তেতে উঠল নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়াম। নব্বই মিনিটের শেষে পুলিশের সঙ্গে সমর্থকদের হাতাহাতি, ঝামেলা। ছিঁড়ে ফেলা হয় মোহনবাগানের জার্সি। কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচে হারের পর ক্ষোভ উগরে দেয় সমর্থকরা। 'গো ব্যাক' ধ্বনি শুনতে হয় কোচ দেগি কার্ডোজোকে। বাস্তব রায়কে ফিরিয়ে আনার দাবি ওঠে। বাগানের জঘন্য পারফরম্যান্সের দিন উত্তাপ ছড়াল সমর্থকরা। দীর্ঘদিন পর বাগানে বিক্ষোভ। আগের বছর ড্র দিয়ে ঘরোয়া লিগ শুরু করেছিল মোহনবাগান। এবার শুরুতেই হোঁচট। পুলিশ এসির কাছে ০-১ গোলে হার সবুজ মেরুনের। ম্যাচের একমাত্র গোল মহম্মদ অমিল নাঈমের। জুনিয়র দল হলেও, মোহনবাগান জার্সিতে এই ফুটবল অনভিপ্রেত।
আরএফডিএলের চ্যাম্পিয়ন দলের চারজন ফুটবলার এদিনের দলে ছিল। গতবছরের কলকাতা লিগের দলের তিনজন ফুটবলার এবারের টিমে আছে। তাসত্ত্বেও ছন্নছাড়া ফুটবল। বোঝাপড়ার অভাব ফুটবলারদের মধ্যে। ওপেন চান্স কম। তারমধ্যেও যে কয়েকটা সুযোগ এসেছিল, কাজে লাগাতে পারেনি। ফিনিশিংয়ে অভাব। সঙ্গে ফিটনেসের সমস্যা। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙা দূর অস্ত, বরং এক গোলে হেরে গেল বাগানের জুনিয়ররা। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে মহম্মদ নঈমের গোলে এগিয়ে যায় পুলিশ। ম্যাচে সমতা ফেরানোর জন্য গোটা একটা অর্ধ পেয়েছিল বাগান। কিন্তু জঘন্য ফুটবল। ফিনিশিংয়ে সমস্যা। পাসাং দর্জি তামাংকে নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল। কিন্তু চূড়ান্ত হতাশ করে পাহাড়ি ফুটবলার।
এদিন আক্রমণ থেকে রক্ষণভাগ, সব বিভাগেই হতাশ করে মোহনবাগান। মাঝমাঠ বলে কিছুই ছিল না। ডানপ্রান্ত শূন্য। বরং, নজর কাড়ে পুলিশের ফৈজল, শেখ সাহিলরা। তাসত্ত্বেও প্রথমার্ধে গোলের জোড়া সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু অ্যাটাকিং থার্ডে ব্যর্থতা। দু'বার গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছেও গোলে শট নিতে পারেনি।

সালাউদ্দিনের ক্রস রিসিভ করতে পারেনি তামাংরা। ম্যাচের ১৪ মিনিটের মাথায় চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন উমের। পরিবর্ত হিসেবে নামানো হয় বিলালকে। ম্যাচের ২৫ মিনিটে সালাউদ্দিনের শট বাইরে যায়। প্রথমার্ধে ডান প্রান্ত দিয়ে বেশ কয়েকটা আক্রমণ শানায় বাগান। বেশ কয়েকবার সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে যান সালাউদ্দিন। কিন্তু গোল লক্ষ্য করে শট নিতে পারেনি বাগানের স্ট্রাইকিং ফোর্স। বাগানের তুলনায় ভাল ফুটবল খেলে পুলিশ। রক্ষণে ঢাল হয়ে দাঁড়ায় সঞ্জয় মান্ডি, সুদীপ দাসরা। এদিন অনেক বেশি সংগঠিত পুলিশ। ম্যাচের ২৯ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু এনজামুল হকের শট বাইরে যায়। ম্যাচের ৪৫+৩ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। গোল করেন মহম্মদ আমিল নাঈম। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল বাগান। শিবমের পাস থেকে সহজ সুযোগ মিস পাসাং তামাংয়ের। মাঝমাঠের সঙ্গে অ্যাটাকিং ফোর্সের একটা বড় গ্যাপ তৈরি হয়। সঙ্গে অসংখ্য মিস পাস। যার খেসারত দিতে হল। মহম্মদ নিয়াজ, আদিত্য মণ্ডলদের নামিয়েও কোনও লাভ হয়নি। দু'সপ্তাহ হল প্র্যাকটিস শুরু করেছে সবুজ মেরুনের জুনিয়ররা। দলে কোনও বাঁধুনি তৈরি হয়নি। সপ্তাহের প্রথম দিন শুধুই হতাশ করল দেগি কার্ডোজোর দল।
ছবি: অভিষেক চক্রবর্তী
