আজকাল ওয়েবডেস্ক: হায়দরাবাদ ম্যাচ অনায়াসে জেতার পর এবার ডার্বির ভাবনা ঢুকে পড়েছে মোহনবাগান শিবিরে। ১১ জানুয়ারি বড় ম্যাচ হচ্ছেই। কিন্তু কোথায় হবে সেই নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রয়োজনে কলকাতা থেকে সরে যেতে পারে ডার্বি। কিন্তু ঘরের মাঠেই আইএসএলের ফিরতি ডার্বি খেলতে চান হোসে মোলিনা। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কলকাতায় না হলে যুবভারতীর সমর্থকদের মিস করবেন তাঁরা। মোলিনা বলেন, 'অবশ্যই আমি কলকাতায় ডার্বি খেলতে চাই। ফ্যানদের সামনে সবাই এই ম্যাচ খেলতে চায়। আমার মনে হয়, ইস্টবেঙ্গলও এখানেই ডার্বি খেলতে চাইবে। কিন্তু পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। মনে হচ্ছে হয়তো এখানে খেলা সম্ভব হবে না। আমাদের সব সিদ্ধন্ত মেনে নিতে হবে। মোহনবাগানের ম্যানেজমেন্ট যেখানে বলবে, সেখানে গিয়েই আমাদের খেলতে হবে। পরিস্থিতি আমাদের হাতে নেই। আমাদের তৈরি থাকতে হবে। তবে আমরা সমর্থকদের মিস করব। আশা করব ডার্বি যেখানেই হোক, ওরা আমাদের সমর্থন করতে আসবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ জিতে ফ্যানদের খুশি করা।'
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সহজ জয় পেলেও, ডার্বির আগে একাধিক বিভাগে উন্নতি চান মোলিনা। স্প্যানিশ কোচ মনে করেন, দল এখনও সেরা ছন্দে নেই। মোলিনা বলেন, 'আমি সবসময় উন্নতি চাই। রক্ষণ থেকে আক্রমণ, সবেতেই উন্নতি প্রয়োজন। আমরা এখনও সেরা খেলাটা খেলতে পারিনি। উন্নতির অনেক জায়গা আছে। আমরা সেরা দল হতে চাই।' দিমিত্রি পেত্রাতোস, আপুইয়া, আশিক কুরুনিয়নের চোট রয়েছে। তবে ডার্বির আগে হাতে আট দিন সময় আছে। মোলিনার আশা, ডার্বির আগে ফিট হয়ে যাবে দলের তিন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে গোল করে বড় ম্যাচের মহড়া সেরে রাখলেন জেসন কামিন্স। জানান, ডার্বির আগে গোল দরকার ছিল। এই গোল এবং জয় তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। কামিন্স বলেন, 'ডার্বির আগে গোলটা পাওয়া খুব দরকার ছিল। গোল করতে পেরে ভাল লাগছে। অন্য ম্যাচের থেকে এই গোলের গুরুত্ব আলাদা। এটা ডার্বির আগে আমাদের মনোবল বাড়াবে।'
তাঁর সতীর্থ এবং এদিনের ম্যাচের সেরা লিস্টন কোলাসো মনে করছেন, ধারে-ভারে তাঁরা এগিয়ে থাকলেও, ডার্বি কঠিন হবে। লিস্টন বলেন, 'আমরা টেবিলের ওপরে। প্রত্যেক ম্যাচ আমাদের মোটিভেট করে। ডার্বি সম্পূর্ণ ভিন্ন ম্যাচ। আবেগ আলাদা। কোচের নির্দেশ মতো খেললে আমরা তিন পয়েন্ট পেতে পারব। তবে ম্যাচটা সহজ হবে না। যথেষ্ট কঠিন হবে।' এদিন ম্যাচের সেরা হলেও গোলের সুযোগ মিস করেন। তার আফশোস রয়েছে লিস্টনের। জানান, গোল করতে পারলে আরও ভাল লাগত। একাধিক সুযোগ নষ্ট হওয়ায় কিছুটা হতাশ তো অবশ্যই। তবে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছেন। তিনের মধ্যে দুটো গোলের পেছনে তাঁর অবদান। সঙ্গে মূল্যবান তিন পয়েন্ট। যা তাঁর গোল মিসের থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এদিন ম্যাচ শেষে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত জানান, ১৮ জানুয়ারি ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভার পর সেই মঞ্চেই সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দলকে সংবর্ধনা দেবে মোহনবাগান।
