আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টির দল ঘোষিত হয়েছে। সেই দলে জায়গা পেয়েছেন মায়াঙ্ক যাদব। কিন্তু তিনি জানতেনই না জাতীয় দলের দরজা তাঁর জন্য খুলে গিয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মায়াঙ্ক যাদব বলেছেন, ''আমি এই নির্বাচনের বিষয়ে বিন্দুবিসর্গ জানতাম না। কিন্তু আমার সতীর্থরা অভিনন্দন বার্তা দিচ্ছিল। এর পরেই আমি বিসিসিআই-এর ওয়েবসাইট চেক করি। এবং সেখানেই দেখি আমার নাম রয়েছে ঘোষিত তালিকায়।''
লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেছেন মায়াঙ্ক। তার মধ্যে দুবার প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন। সাত-সাতটি উইকেট তাঁর নামের পাশে। এহেন মায়াঙ্ক যাদব তাঁর মাকে ফোন করেন আনন্দ সংবাদ শেয়ার করার জন্য। ছ' মিনিট কথা হয় তাঁর মায়ের সঙ্গে। মায়াঙ্কের মা কেঁদে ফেলেছিলেন। মায়ের সঙ্গে কথা বলার পরে ফ্ল্যাশব্যাকে মায়াঙ্কের চোখে ভেসে আসছিল নানা ছবি। তিনি বলছিলেন, ''ফোনটা রাখার পরই অনেক কিছু স্মৃতিতে ভাসছিল। সনেট ক্লাবে যাওয়ার প্রথম দিন থেকে উদ্বেগ নিয়ে এনসিএ-তে চার মাস কাটানোর অভিজ্ঞতা মনে পড়ছিল।''
গৌতম গম্ভীরের কোচিংয়ে মায়াঙ্ক খেলেছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসে। এবার জাতীয় দলেও গম্ভীরের কোচিংয়েই খেলতে দেখা যাবে মায়াঙ্ককে। তিনি বলছেন, ''গৌতম ভাইয়ের পরামর্শ আমার জীবন বদলে দিয়েছিল। একবার গৌতম ভাই বলেছিলেন, কয়েকজন প্লেয়ার রয়েছে যাঁরা নিজেদের প্রমাণ করার জন্য বহুবার সুযোগ পান। আর কেয়কজন রয়েছেন, যাঁরা একবারই সুযোগ পেয়ে থাকেন। আইপিএল টিমে খেলেও আমি জুতোর স্পনসর পাচ্ছিলাম না। গৌতম ভাইয়ের পরামর্শ এখনও আমি মেনে চলি। গৌতম ও বিজয় দাহিয়া স্যার আমাকে বলেছিলেন, এক-দেড় বছর পরে প্রথম সুযোগ পাচ্ছ। সুযোগের সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি। আইপিএলে অভিষেকের পরে বোলিং শুয়ের অফার পাই। মর্নি মর্কেল স্যার খুব বেশি কথা বলতেন না। কিছু ভুলত্রুটি পেলে বা কিছু দেখলে উনি আমাকে পারমর্শ দিতেন।''
জাতীয় দলের জার্সিতে গতির ঝড় তুলতে মরিয়া মায়াঙ্ক।
