আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ধোনিভক্ত জয়কুমার জনি আচমকাই মারা গেলেন। ২০২৪ আইপিএলের ঘটনা। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে খেলা ছিল গুজরাট টাইটান্স ও চেন্নাই সুপার কিংসের। নিরাপত্তাবেষ্টনী টপকে একেবারে ধোনির সামনে চলে গিয়েছিলেন জয়কুমার। ব্যাটার ধোনির পা ছুয়েছিলেন জয়কুমার। ধোনি সেই ভক্তকে হাত ধরে দাঁড় করান। এরপরই নিরাপত্তারক্ষীরা ওই ধোনি ভক্তকে ধরে মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যান। পরে ওই ভক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে কিছুদিন পর ছেড়ে দেওয়া হয়।


ভাবনগর জেলার রাবারিকা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন জয়কুমার। একাধিক ধারায় তাঁকে তখন গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছিল, নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে ব্যারিকেড টপকে তিনি মাঠের ভিতরে ঢুকে পড়েছিলেন। দৌড়তে দৌড়তে একেবারে সটান চলে যান ধোনির কাছে। এরপরই ধোনির হাত স্পর্শ করেন তিনি। ধোনির প্রতি ভালবাসা থেকেই এই কাজ করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন জয়কুমার। 


আচমকাই জানা গেল, সেই ধোনিভক্ত জয়কুমার নাকি মারা গিয়েছেন। কিন্তু কীভাবে তা জানা যায়নি। এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। 


জানা গিয়েছিল, জয়কুমার ও তাঁর ভাই পারথ ভাবনগর থেকে আমেদাবাদে এসেছিলেন খেলা দেখতে। ঘটনার সময় ব্যাট করছিলেন ধোনি। একটি ডিআরএস নিয়ে তখন খেলা সাময়িক বন্ধ ছিল। তখনই এই কাজ করেন জয়কুমার। সেই ভক্তই আচমকা মারা গেলেন। 

এদিকে, ১১ বছর আগে একটি মামলা করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২০১৪ সালে দায়ের হওয়া সেই মামলার শুনানি শুরু হতে চলেছে ২০২৫ সালে। ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলায় ধোনির বয়ান রেকর্ডের নির্দেশ দিয়েছেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি।


২০১৪ সালে দুই সংবাদমাধ্যম ও এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন ধোনি। তাঁর অভিযোগ, ২০১৩ সালে সংবাদমাধ্যমের এক অনুষ্ঠানে আইপিএলে ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে আলোচনার সময় তাঁর নাম নেওয়া হয়েছিল। এতে তাঁর সম্মানহানি হয়েছে। আইপিএলে ম্যাচ গড়াপেটার কারণে চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালসকে দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছিল। সেই সময় অন্য দলের হয়ে খেলেছিলেন ধোনি। চেন্নাইয়ের প্রত্যাবর্তনের পর একটা অনুষ্ঠানে গড়াপেটার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। তিনি বুঝিয়েছিলেন, এই ঘটনা তাঁকে কতটা ধাক্কা দিয়েছে। তাই গড়াপেটায় তাঁর নাম নেওয়ায় চুপ থাকেননি ধোনি। সরাসরি মাদ্রাজ হাইকোর্টে মামলা করেন।

বিচারপতি সিভি কার্তিকেয়ন এক জন অ্যাডভোকেট কমিশনার নিযুক্ত করেছেন। তিনি ধোনির বয়ান রেকর্ড করবেন। সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে পারতেন ধোনি। কিন্তু তিনি গেলে তাঁকে দেখতে অনেকে জড়ো হবেন। তাতে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে। তাই তাঁর বয়ান রেকর্ড করে আনা হবে।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধোনির তরফে পিআর রমন একটা হলফনামা জমা দিয়েছেন। সেখানে আবেদন করা হয়েছে, এই মামলা যাতে আর বেশি দিন ফেলে রাখা না হয়। হলফনামায় লেখা, ‘‌যাতে অকারণে দেরি না করে মামলার দ্রুত ও ন্যায্য নিষ্পত্তি করা হয় তার জন্যই এই হলফনামা। শুনানির সময় আদালত যা যা প্রমাণ চাইবে তা দেওয়ার সব রকম চেষ্টা করা হবে। আদালতের কাছে অনুরোধ, দ্রুত শুনানি শুরু হোক।’‌ সেই অনুরোধ মেনেই শুনানি শুরু হতে চলেছে।

‌ 

 

 

 

‌