আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতা সফরে এসে বাইপাসের ধারে সল্টলেক স্টেডিয়াম সংলগ্ন হায়াত রিজেন্সি হোটেলে উঠেছেন মেসি।
শনিবার রাত প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ হোটেলে পৌঁছন মেসি। হোটেলের সামনেও প্রচুর মেসি ভক্ত উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু মেসি পিছনের গেট গিয়ে হোটেলে ঢোকেন।
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, হোটেলের ৭৩০ নম্বর রুমে উঠেছেন মেসি। হোটেলের সেভেনথ ফ্লোরে রয়েছে এই রুমটি। মেসির নিরাপত্তার জন্য ওই ফ্লোরে অন্য কারও যাতায়াত একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে মেসির স্যুইটের সামনে কোনও অশান্তি না তৈরি হয়।
যদিও হোটেলের ওই রুমের সঠিক ভাড়ার তথ্য পাওয়া না গেলেও হোটেলের ওয়েবসাইট সূত্রে যা জানা যাচ্ছে, তাতে মেসির জন্য বরাদ্দ ওই প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইট (যার মধ্যে আলাদা রান্নাঘর, আলাদা সিটিং এরিয়া, কাজের জন্য আলাদা জায়গা, আট জন একসঙ্গে বসে খেতে পারেন এমন ডাইনিং হল রয়েছে)। ১৩ ডিসেম্বর শনিবার সেভেনথ ফ্লোরের কোনও ঘরই ভাড়া দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ১৪ ডিসেম্বর এক রাতের জন্য ওই স্যুইটের ভাড়া ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৫০০ টাকা। ডিপ্লোম্যাটিক স্যুইটের এক রাতের ভাড়া ১ লক্ষ ১২ হাজার ৫০০ টাকা। রিজেন্সি এক্সিকিউটিভ স্যুইটের প্রতি রাতের ভাড়া ৫১ হাজার টাকা। অন্যদিকে রিজেন্সি স্যুইট কুংয়ের ভাড়া প্রতি রাতের জন্য ৩৮ হাজার টাকা।
হোটেল কর্তৃপক্ষ গোটা চত্বর আর্জেন্টিনার জার্সির রঙ (নীল সাদা) ও মেসির ব্যানারে ভরিয়ে দিয়েছে। হোটেলের সামনে মেসি ভক্তদের ভিড় কমতেই চাইছে না। যদি প্রিয় ফুটবলারকে একবার চোখের দেখা দেখতে পাওয়া যায়।
জানা গেছে, নিউ আলিপুরের এক দম্পতি তাঁদের সন্তানকে নিয়ে শুক্রবারই ওই হোটেলে এসেছেন। তাঁদের ছেলে কৃষ গুপ্তা আবার রোনাল্ডো ভক্ত। সেই খুদে জানাল, ‘রোনাল্ডো ভক্ত আমি। কিন্তু রোনাল্ডোর সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ এসেছে আমার শহরে। আমি এই মুহূর্তটা মিস করতে চাই না। তাই মা–বাবাকে নিয়ে পরিকল্পনা করে একদিন আগেই এই হোটেলে এসে উঠেছি।’ নবম শ্রেণির পড়ুয়ার অকপট স্বীকারোক্তিই বুঝিয়ে দিচ্ছে সবটা।
কৃষ জানিয়েই দিচ্ছে, ‘মেসির অটোগ্রাফ আর সঙ্গে সেলফি। এই হলেই আমার চলে যাবে।’
এদিকে, শনিবার সকাল থেকে বাইপাস সংলগ্ন হোটেলের সামনে মেসি ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছে।
