আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহাকাব্যিক ফাইনাল জিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। রক্তের গতি বাড়িয়ে দেওয়া ফাইনালে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, আর্জেন্টিনা খুব সহজেই হয়তো ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে। কিন্তু সেই ফাইনালের প্রতিটি মোড়ে যে এত নাটক লুকিয়ে ছিল তা কে জানত! দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান্স ম্যাচে ফেরে দুদ্দাড়িয়ে। ম্যাচের ৮০ ও ৮১ মিনিটে জোড়া গোল করে এমবাপে জমিয়ে দেন ম্যাচ।

তাঁকে সামলাতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টাইন ডিফেন্স। সেই ম্যাচ গড়ায় এক্সট্রা টাইমে। সেখানে মেসি গোল করে এগিয়ে দেন আর্জেন্টিনাকে। এমবাপে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান। অবশেষে টাইব্রেকারে বুয়েনোস আইরেসে বিশ্বকাপ নিয়ে যায় নীল-সাদা জার্সিধারীরা। আর তার পিছনে বড় অবদান রয়েছে গোলকিপার এমি মার্টিনেজের। 

আরও পড়ুন: বিরাট-রোহিতের বিশ্বকাপ ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় মন্তব্য,‌ দুই তারকার দেওয়াল লিখন পড়লেন কুম্বলে...

আরও একটি বিশ্বকাপ এগিয়ে এল। ফাইনালের হ্যাটট্রিককারী এমবাপে মনে করেন সেদিন যোগ্য দল হিসেবেই ম্যাচটা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। সেই ফাইনাল নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন ফ্রান্সের মহাতারকা এমবাপে। তিনি বলেছেন, ''ফাইনালে গোল করার কথা কেউ ভাবে না। সবাই ভাবে ফাইনাল জিততে হবে। দারুণ এক ম্যাচ হয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আর্জেন্টিনাই যোগ্য দল ছিল। গোটা ম্যাচে ওরা দারুণ ছিল।'' 

সেই ফাইনালের আগে ও পরে এমি মার্টিনেজের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল এমবাপের। এমি মার্টিনেজও আর্জেন্টিনার বারের নীচে দুর্দান্ত ছিলেন। এক্সট্রা টাইমে অবধারিত গোল বাঁচিয়েছেন। টাইব্রেকারেও তিনি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। এমবাপের মতো দেখতে এক পুতুল নিয়ে তিনি ভিকট্রি প্যারাডে-তে উপস্থিত ছিলেন। ২০২২ সালের সেই ফাইনাল প্রসঙ্গে এমবাপে বলছেন, ''আমরা যখন ভাল খেলছিলাম, তখন গোল পেয়েছি। মুহূর্তগুলোও আমাদের ছিল। কিন্তু সব দিক থেকে বিচার করলে আর্জেন্টিনাই যোগ্য দল ছিল। ফাইনাল হেরে যাওয়ায় আমরা দুঃখ পেয়েছিলাম। কিন্তু সেই ম্যাচের কথা ভুললে চলবে না। কারণ ২০২৬ বিশ্বকাপ এগিয়ে আসছে। দুঃখ নিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করতে আর চাই না।'' 
 
কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচ হেরে গিয়েছিল সৌদি আরবের কাছে। সবাই ধরে নিয়েছিলেন নীল-সাদা জার্সিধারীরা বেশিদূর এগোতে পারবে না। পরের মেক্সিকো ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে আর্জেন্টিনা। মেক্সিকোকে ২-০ গোলে মাটি ধরায় মেসির দল। তার পরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি লিওনেল স্কালোনির দলকে। ছিয়াশিতে দিয়েগো মারাদোনার হাতে বিশ্বকাপ উঠেছিল। তার ৩৬ বছর পরে মেসি বিশ্বকাপ তুললেন।  

আরও পড়ুন: ক্যারিবিয়ানদের লেজ ছাঁটতে হিমশিম খেলেন কুলদীপরা!‌ দিল্লি টেস্ট জিততে ভারতের চাই আর ৫৮