আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহম্মদ সিরাজ ম্যাজিক দেখা গিয়েছে ওভালে। হায়দরাবাদির আগুনে স্পেলে ভারত সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনে।
আসন্ন এশিয়া কাপের দল নির্বাচনের আগে ভারতের প্রাক্তন ওপেনার কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত মনে করেন মহম্মদ সিরাজকে অতিরিক্ত মিডিয়াম পেসার হিসেবে দলে নেওয়া হবে। এবারের এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। শ্রীকান্ত নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, ''জশপ্রীত বুমরাহ ও অর্শদীপ সিং নিশ্চিত। আমার মনে হয় প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা নয়, সিরাজকেই নেওয়া হবে। সিরাজের মধ্যে লড়াকু মানসিকতা রয়েছে। প্রসিদ্ধ আইপিএলে ভাল খেলেছে। তবে আমার মনে হয় সিরাজকেই অতিরিক্ত একজন মিডিয়াম পেসার হিসেবে দলে নেওয়া হবে।''
শ্রীকান্তের সংযোজন, ''প্রসিদ্ধ ও সিরাজ গুজরাট টাইটান্সের হয়ে ভাল খেলেছে। তবে বর্তমান পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে সিরাজই এগিয়ে থাকবে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার থেকে। আমি হলে সিরাজকেই নিতাম।"
আরও পড়ুন: ১৪ তারিখ এশিয়া কাপে ভারত-পাক ম্যাচ, 'ম্যাচ নেহি হোগা', বলে দিলেন প্রাক্তন তারকা, কীভাবে বললেন তিনি?
এহেন শ্রীকান্ত অবশ্য বৈভব সূর্যবংশীর হয়েও গলা ফাটিয়েছেন। দল ঘোষণার আগে ভারতের প্রাক্তন ওপেনার কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত বলছেন, এশিয়া কাপের দলে যেন বৈভব সূর্যবংশীকে নেওয়া হয়। ১৪ বছরের সূর্যবংশী ইতিমধ্যেই পরিণতি দেখিয়েছেন। তাঁকেই দলে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন শ্রীকান্ত। তিনি বলেছেন, ''সাহসী ক্রিকেটের পরিচয় দিতে হবে। ওকে অপেক্ষায় রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। ওকে পরিণত হতে দাও, এই ধরনের মন্তব্য করতে যেও না। ইতিমধ্যেই পরিণতিবোধের পরিচয় দিয়েছে বৈভব। ওর শট অন্য লেভেলের। আমি যদি চেয়ারম্যান হতাম, তাহলে ১৬ জনের স্কোয়াডে ওকে রাখতাম।''
শ্রীকান্তের সংযোজন, ''স্যামসন অনিশ্চিত। আমার প্রথম পছন্দের ওপেনার অভিশেক শর্মা। আমার হাতে আরও দু'জন ওপেনার রয়েছে। আমি বৈভব সূর্যবংশী বা সাই সুদর্শনকে নেব। সঙ্গে থাকবে শুভমান গিল। আমি যদি নির্বাচক হতাম তাহলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বৈভবকে ১৫ জনের দলে রাখতাম। দুর্দান্ত খেলছে বৈভব। যশস্বী জয়সওয়াল, বৈভব সূর্যবংশী ও সাই সুদর্শনের মধ্যে যে কোনও দু'জনকে দলে রাখতাম আমি। এটা আমার পছন্দ।''
চতুর্থ দিনে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ফেলেছিলেন সিরাজ। সমালোচনা ধেয়ে এসেছিল তাঁর দিকে। প্রাক্তনদের তীব্র সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন সিরাজ। সেই সিরাজ এদিন প্রায়শ্চিত্ত করলেন। ক্রিকেট বারবার সুযোগ দেয় না। এক বলের খেলা ক্রিকেট। সেখানে ক্রিকেট আরও একটা সুযোগ দিয়েছিল সিরাজকে। হায়দরাবাদি তারকা সেই সুযোগ দু'হাতে লুফে নেন। ওভালে নিজেকে নিংড়ে দিলেন। তিরিশ ওভার হাত ঘুরিয়ে পাঁচ-পাঁচটি উইকেট নিলেন। পঞ্চম দিনের শুরুতে উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সাজঘরে জোরালো ধাক্কা দিয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের শেষটাও হল তাঁরই হাতে। আইপিএলের নিলামে কোটিপতি খেলোয়াড় হন সূর্যবংশী। আইপিএলে সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। শ্রীকান্তের কথা মেলে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন: টেস্ট পারফরম্যান্স নিয়ে গম্ভীরের সমালোচনা, যোগ জবাব ভারতীয় পেসারের...
