আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজকাল.ইন'এর খবরেই সিলমোহর পড়ল। গুয়াহাটিতেই হচ্ছে আইএসএলের ফিরতি ডার্বি। দীর্ঘ টালবাহানার পর আসন্ন বড় ম্যাচের ভেন্যু হিসেবে গুয়াহাটির নাম ঘোষণা করল মোহনবাগান। বুধবার দুপুরে নিজেদের ইনস্টাগ্রামে ডার্বি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়। এদিন সকালে সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স পায় মোহনবাগান। পুলিশের তরফে ক্লাবকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ডার্বি আয়োজনে কোনও সমস্যা নেই। তার পরপরই গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে চলে আসে। শনিবার সন্ধে সাড়ে সাতটায় গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে হবে আইএসএলের ফিরতি ডার্বি।
আজকাল.ইন গত শনিবার রাতেই জানায়, ডার্বি আয়োজনে এগিয়ে গুয়াহাটি। মঙ্গলবার সেই খবরে সিলমোহর দেওয়া হয়। কিন্তু তখনও সরকারি ঘোষণা হয়নি। ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত হয়ে গেলেও, ক্লাবে চিঠি আসা বাকি ছিল। তবে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের প্রথম পছন্দ ছিল গুয়াহাটি। তার অন্যতম কারণ, টিভি সেটআপ। ১০ জানুয়ারি গুয়াহাটিতে পাঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের হোম ম্যাচ আছে। আবার ১৪ জানুয়ারি গোয়ার বিরুদ্ধে নর্থ ইস্টের হোম ম্যাচ। অর্থাৎ টিভি সেটআপ পুরো তৈরি থাকবে। সেক্ষেত্রে পরের দিন ডার্বি করতে কোনও বাড়তি আয়োজনের প্রয়োজন পড়বে না। খরচও বাঁচবে। এই বিষয়টি মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে এফএসডিএলকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু চলতি সপ্তাহে এবং ডার্বির দিন কিছু রাজনৈতিক কর্মসূচি পড়ে যাওয়ায় পুলিশের অনুমতি পেতে একটু দেরী হয়।
বুধবার এবং বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত থাকবেন। শনিবার, অর্থাৎ ডার্বির দিন দুপুর আড়াইটে থেকে গুয়াহাটিতে রাজনৈতিক ব়্যালি বেরোবে। এই কারণেই বিষয়টি কিছুটা জটিল হয়ে যায়। সবকিছু একসঙ্গে করা সম্ভব হবে কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কিন্তু গুয়াহাটিতে ডার্বি করার বিষয়ে অনড় ছিল বাগান ম্যানেজমেন্ট। শেষপর্যন্ত ছাড়পত্র মিলল। ম্যাচের ৭২ ঘন্টা আগে ভেন্যু ঘোষণা করা হল। কলকাতা ডার্বির ইতিহাসে এর আগে ভেন্যু নিয়ে এমন টালবাহানা হয়েছে বলে মনে পড়ে না। তবে শেষ মুহূর্তের ঘোষণায় সমস্যায় দুই ক্লাবের সমর্থকরা। ট্রেনের টিকিট নেই। বিমান ভাড়া আকাশছোঁয়া। ইচ্ছে থাকলেও মাঠে বসে ডার্বি দেখা হবে না অনেকেরই।
