আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুম্বইয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের লাগোয়া বিসিসিআইয়ের অফিস থেকেই চুরি গেল লক্ষাধিক টাকার আইপিএল জার্সি। একেবারে ভারতীয় ক্রিকেটের হেডঅফিসেই এই ধরনের চুরির ঘটনায় তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন সকলেই। জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালের আইপিএলের জন্য প্রস্তুত করা জার্সি চুরি যাওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেট মহলে। হিসেব বলছে, বিসিসিআইয়ের অফিস থেকে যে পরিমাণ জার্সি চুরি গিয়েছে তার বর্তমান বাজারমূল্য ৬.৫ লক্ষ টাকা। প্রত্যেকটি জার্সি প্লেয়ার ভার্সন এবং স্পন্সরদের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে জার্সিগুলির। এই চুরির ঘটনায় জড়িত এক ৪০ বছর বয়সি নিরাপত্তারক্ষীকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীর নাম ফারুক আসলাম খান।
জানা গিয়েছে, তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের হেডঅফিস থেকে মোট ২৬১টি জার্সি চুরি করেন, যার প্রত্যেকটির দাম ছিল প্রায় ২৫০০ টাকা। ওই ব্যক্তিকে আটক করে তাঁকে জেরা করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত নিরাপত্তারক্ষীর অনলাইন জুয়ার আসক্তি ছিল। সেখানে তাঁর অনেক ধার হয়ে যায়। সেই ধার মেটানোর জন্য এই চুরির পথে হেঁটেছিলেন তিনি। চুরি করা আইপিএলের অরিজিনাল জার্সিগুলি তিনি হরিয়ানার এক অনলাইন ডিলারের কাছে বিক্রি করেন। জানা যায়, ওই অনলাইন ডিলারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চুরির ঘটনা ঘটে গত ১৩ জুন। কিন্তু তখন কেউই জানতে পারেনি এর কথা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে স্টোর রুমের অডিটের সময়। অডিট করতে গিয়ে দেখা যায় জার্সি মজুদে ঘাটতি রয়েছে। তারপর বিসিসিআইয়ের আধিকারিকরা সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখেন, অভিযুক্ত ওই নিরাপত্তারক্ষী একটি বাক্স করে জার্সি নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ম্যাঞ্চেস্টারে শেষদিকে ঠিক কী হয়েছিল? নতুন ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ফাঁস সত্য
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ফারুক ওই অনলাইন ডিলারকে জানিয়েছিলেন, অফিস রেনোভেশনের কারণে স্টক ক্লিয়ারেন্স সেলে জার্সিগুলি বিক্রি করা হচ্ছে। ওই ডিলারও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেন, জার্সিগুলি যে চুরি করা সেটা তিনি জানতেন না। চুরি যাওয়া ২৬১টি জার্সির মধ্যে ৫০টি ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত জানিয়েছেন, জার্সি বিক্রি করে ওই অনলাইন ডিলারের কাছ থেকে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সমস্ত টাকাও তিনি অনলাইন জুয়াতে হেরে বসেন। গত ১৭ জুলাই এই বিষয়ে বিষয়ে মেরিন ড্রাইভ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ এখন অভিযুক্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হতে চাইছে তিনি সত্যিই সব টাকা জুয়াতে হেরেছেন কিনা। এই ঘটনায় হরিয়ানার অনলাইন ডিলারকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।
