আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অনিকেত বর্মাকে দলে নিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রবিবার অনিকেত ধরা দিলেন অন্য অবতারে। দিনান্তে হায়দরাবাদ  জেতেনি। কিন্তু নতুন এক সূর্যের উদয় দেখল আইপিএল। 

হায়দরাবাদ অনেক আগেই অনিকেতের মধ্যে বারুদ লক্ষ্য করেছিল। তাদের ট্রায়ালেও ডাকা হয়েছিল তাঁকে। সেখানে তিনি নজর কাড়ায় মেগা নিলামে অনিকেতকে দলে নিতে আর কালবিলম্ব করেনি সানরাইজার্স। রবিবার দিল্লির বিরুদ্ধে অনিকেত ছাপিয়ে গেলেন নিজেকেও। 

তিনি যখন ব্যাট হাতে নামেন, সেই সময়ে হায়দরাবাদ ধুঁকছে। এমন মঞ্চেই তো তরুণরা পারফর্ম করেন। এমন মঞ্চ জন্ম দেয় নতুন তারকার। রবিবার যেমন জন্ম দিল অনিকেতকে। 

৪১ বলে ৭৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। ৬টি ছক্কা ও ৫টি চার মারেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয় অনিকেতের। খোঁজ পড়ে যায় তাঁর উঠে আসা দিনগুলোর। একটা দুরন্ত ইনিংস পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসে তরুণ ব্যাটারকে। 

মধ্যপ্রদেশের ভোপালের ছেলে অনিকেত।  
গত বছর মধ্যপ্রদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলেই নজর কাড়েন। ভোপাল লেপার্ডসের হয়ে ৬ ইনিংসে অনিকেত করেন ২৭৩ রান। ২৫টি ছক্কা মারেন তিনি। নজরে পড়ে যান হায়দরাবাদের স্কাউটদের। 

হায়দরাবাদের ট্রায়ালে এসেও অনিকেত নজর কাড়েন। দলের কর্তৃপক্ষ স্থির করে ফেলে মেগা নিলামে দলে নিতেই হবে অনিকেতকে। তিরিশ লক্ষ টাকা দিয়ে তাঁকে নেয় হায়দরাবাদ। 

ক্রিকেটার হওয়ার পথটা মসৃণ ছিল না অনিকেতের। খুব ছোটবেলায় মাকে হারান অনিকেত। আর্থিক পরিস্থিতি ভাল ছিল না। কাকা অমিত বর্মার হাত ধরে ১০ বছর বয়সে ভর্তি হন ভোপালের অঙ্কুর ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে।  ১৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে অনিকেতকে অ্যাকাডেমিতে নিয়ে যেতেন তাঁর কাকা। সেই পরিশ্রমের ফলাফল পেয়েছেন অনিকেত। 

সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় অনিকেতের। মধ্যপ্রদেশের হয়ে অভিশেক ম্যাচে প্রথম বলেই আউট হন তিনি। 

দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলেন এবারের আইপিএলে। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ১৯-তম ওভারে ব্যাট করতে নেমে ৭ বলে ১৩ রান করেন। মারেন একটি ছক্কা। 

লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে অনিকেত ধ্বংসাত্মক হওয়ার ইঙ্গিত দেন। ১৩-তম ওভারে ব্যাট হাতে নেমে পাঁচ  ছক্কায় করেন ৩৬ রান। খেলেন ১৩টি বল। 

দিল্লির বিরুদ্ধে অনিকেত নিজেকেও ছাপিয়ে যান। ম্যাচে হায়দরাবাদ না জিতলেও অনিকেত কিন্তু জিতে গিয়েছেন।