আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতায় এ কী কাণ্ড!‌ অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরে আয়োজিত টুর্নামেন্টে প্রকাশ্যে এল পরিকাঠামোর চরম অভাব। তাঁবু থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জল, চলছে বাঁদরের উৎপাত। তার মধ্যেই চলছে খেলা। পরের মাসে গোয়ায় দাবা বিশ্বকাপ। সেখানেও কি এরকম হতশ্রী ছবি দেখা যাবে? 


গুন্টুরের ভিগনান বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হয়েছিল ৬২ তম জাতীয় দাবার আসর। একটা তাঁবুর মধ্যে ৪০০ দাবাড়ুর মগজাস্ত্রের পরীক্ষা চলছে। ফুটো তাঁবু থেকে বৃষ্টির জল পড়ে দাবার বোর্ড ভিজিয়ে দিচ্ছে। আবার গরমের জন্য কুলার বসানো হলে তার হাওয়া সামান্য কয়েকজন ছাড়া কারও কাছে পৌঁছয়নি। বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যাওয়া রোজকার ব্যাপার। এগুলো সহ্য করা হয়ে গেলে আছে বাঁদরের তাণ্ডব। তাঁবুর উপরে–বাইরে বাঁদরের রাজত্ব। তারা আবার মাঝেমধ্যে তাঁবুর ভিতরেও ঢুকে পড়ছে।


জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা আয়োজনের এই অবস্থা নিয়ে অংশগ্রহণকারীরা সোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। দু’‌বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন, অলিম্পিয়াড জয়ী দাবাড়ু ৩২ বছর বয়সি জিএম সেতুরমন এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘দাবা প্রতিযোগিতার থেকে বেঁচে থাকার প্রতিযোগিতা বেশি মনে হচ্ছিল। উপরে বাঁদরের উৎপাত, কখনও বৃষ্টির জল ভিতরে পড়ছে, যখন তখন বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যাচ্ছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা ছাড়া এই প্রতিযোগিতায় সব ছিল।’ অনেকে আবার অভিযোগ তুলছেন খাবার নিয়েও। এক দাবাড়ুর বক্তব্য, ‘‌রোজ একই খাবার দিত। তাছাড়া আমিষ খাবারের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। তাই প্রোটিন পাওয়া যেত না।’‌ কিন্তু কেন এরকম দুরবস্থা? টুর্নামেন্ট আয়োজকদের একজনের বক্তব্য, ‘‌৪০০ জনকে একসঙ্গে খেলানোর এর থেকে ভাল ব্যবস্থা আমাদের কাছে ছিল না।’‌ বোঝো কাণ্ড!‌ 

 

ফাইল ছবি