আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০৩০ সালে ভারতের জন্য কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের দরজা খুলবে কিনা তা শীঘ্রই জানা যাবে। বুধবারই জানা যাবে ভারত আয়োজক হতে পারে কিনা।

গ্লাসগোতে কমনওয়েলথ স্পোর্টস জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে ভারতের বিড অনুমোদন পেতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। এক মাসেরও বেশি সময় আগে এই আয়োজনের বিষয়টি কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।

২০১০ সালে দিল্লিতে কমনওয়েলথ গেমস অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এবার দেশের দ্বিতীয় আয়োজক শহর হতে চলেছে আহমেদাবাদ। গত দশ বছরে শহরটি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নিজের ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নত করেছে।

জানা গিয়েছে, জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেওয়া হবে। যা কমনওয়েলথ স্পোর্টস বোর্ডের সুপারিশের উপর ভিত্তি করেই হবে।

বিডের মূল্যায়নের সময় কমিটি শহরের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা, অ্যাথলিটদের অভিজ্ঞতা, পরিকাঠামো, স্থানীয় শাসনব্যবস্থার মতো দিকগুলি বিবেচনা করে থাকে। ২০৩০ সালের বিডে ভারত নাইজেরিয়ার আবুজার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল।

তবে আবুজাকে পিছনে ফেলে কমনওয়েলথ স্পোর্ট ২০৩৪ সালের প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য আফ্রিকান দেশটিকে উৎসাহিত করার পরিকল্পনা করেছে।

কমনওয়েলথ স্পোর্ট জানিয়েছে, ২০৩০ সালে আয়োজনের জন্য বুধবার ভোটাভুটি হবে এবং এরপরই আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে। ভারতীয় প্রতিনিধি দল হিসেবে উপস্থিত থাকছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব কুনাল, আইওএ সভাপতি পি.টি. উষা এবং গুজরাটের ক্রীড়ামন্ত্রী হর্ষ সাংভি।

কমনওয়েলথ স্পোর্টের বক্তব্য অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্ত কমনওয়েলথ আন্দোলনের ১০০ বছরের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে। ২০১০ দিল্লি কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৭০,০০০ কোটি টাকা।

তবে বর্তমানে এই প্রতিযোগিতা থেকে বিশ্বব্যাপী অনেক দেশই আগ্রহ হারাচ্ছে। আগের মতো আয়োজন করাও সহজ হচ্ছে না। ২০৩০ সালে কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজক হওয়া ভারতের ২০৩৬ সালের অলিম্পিক আয়োজনের উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য বড় পদক্ষেপ বলে ধরা হচ্ছে। সেই প্রস্তাবও আহমেদাবাদ কেন্দ্রিক।

আহমেদাবাদ সম্প্রতি কমনওয়েলথ ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়ান অ্যাকোয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল কোয়ালিফায়ার অনুষ্ঠিত করেছে।

আগামী বছর এশিয়ান ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এশিয়া প্যারা-আর্চারি কাপও অনুষ্ঠিত হবে সেখানে। ২০২৯ সালে ওয়ার্ল্ড পুলিশ অ্যান্ড ফায়ার গেমস আয়োজন হবে আহমেদাবাদ, গান্ধীনগর ও এক্তা নগরে।

আয়োজনের জন্য সারদার প্যাটেল স্পোর্টস এনক্লেভ নির্মাণের কাজ চলছে। যার মধ্যে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম ছাড়াও থাকছে আধুনিক অ্যাকোয়াটিক্স সেন্টার, ফুটবল স্টেডিয়াম এবং ইনডোর অ্যারেনা।

প্রায় ৩,০০০ ক্রীড়াবিদ থাকার মতো অ্যাথলিট ভিলেজও এই কমপ্লেক্সের অংশ। ২০২৬ সালে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসের খরচ কমানোর লক্ষ্যে ছোট পরিসরে আয়োজন করা হচ্ছে এবং ১০টি খেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তাতে রেসলিং, শুটিং, ব্যাডমিন্টন, হকির মতো বড় বড় খেলাই বাদ পড়েছে। তবে ২০৩০ সালে কমনওয়েলথ আয়োজনে ভারত পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের সব জনপ্রিয় এবং ট্র্যাডিশনাল খেলা পুনর্বহাল করা হবে। তালিকায় রয়েছে, শুটিং, কুস্তি, আর্চারি ছাড়াও কবাডি এবং খো খো।