আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘুম ভেঙেছে ইথিওপিয়ার হায়লি গুব্বি আগ্নেয়গিরির। বদলে গিয়েছে আবহাওয়া। প্রায় চার হাজার কিলোমিটার দূরে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে প্রভাব পড়ল ভারতের আকাশেও। হাওয়া বদলাচ্ছে রাজধানী দিল্লির। ঘন্টায় ১৩০-১৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ভারতের উত্তর-পশ্চিম অর্থাৎ দিল্লি, হরিয়ানায় ঢুকে পড়েছে ছাই ও সালফার ডাই অক্সাইডের মতো 'বিষাক্ত মেঘ'। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে 'বিষবায়ু' জর্জরিত দিল্লিবাসীর। ইথিওপিয়ার হায়লি গুব্বি আগ্নেয়গিরির বিষাক্ত ছাই আরও কত দূষণ ছড়াবে? 

দিল্লির জন্য কতটা ক্ষতির?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইথিওপিয়ার হায়লি গুব্বি আগ্নেয়গিরি গ্যাস দিল্লির আকাশে ঢুকে পড়লেও তার তেমন প্রভাব পড়বে না। আবহাওয়াবিদদের অনুমান, যেহেতু এই ‘বিষাক্ত মেঘ’ ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতার মধ্য়ে থাকবে, তাই সরাসরি কোনও ক্ষতি বা প্রভাবের সম্ভবনা নেই।

দিল্লিতে দূষণ নিয়ে হাই-অ্যালার্ট
দেশের রাজধানী বেড়েছে 'বিষবায়ু'। শীতের আগেই অস্বাভাবিক নিয়মে বেড়ে চলেছে দূষণের পরিমাণ। বায়ুর গুণমান সূচক ছাড়িয়ে গিয়েছে ৩৫০ একিউআইয়ের গন্ডি। অর্থাৎ পরিস্থিতি ভয়াবহ। ইতিমধ্যে রাজধানীর এই শঙ্কাজনক অবস্থা নিয়ে হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। যত দ্রুত সম্ভব বৈদ্যুতিক গাড়িতে স্থানান্তরের বার্তা দিয়েছে পিএমও।

ইন্ডিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর জেনারেল এম মহাপাত্র বলেছেন, "শহরাঞ্চলে এর প্রভাব বলতে মূলত তাপমাত্রার সামান্য বৃদ্ধি ঘটবে। যেমন সাধারণত মেঘ করলে হয়, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়বে। অর্থাৎ রাতের উষ্ণতা বাড়তে পারে। তবে সরাসরি বায়ুর গুণমান বা একিউআই-এর উপরে এই কালো মেঘের বড় প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম। কারণ ছাইয়ের মেঘটি বাতাসের অনেক উচ্চ স্তরে রয়েছে।"

বিষ-মেঘটির অধিকাংশটাই আগ্নেয়গিরির ছাই এবং সালফার ডাই অক্সাইড দিয়ে তৈরি। এ ছাড়া কাচ ও পাথরের ছোট ছোট কণাও রয়েছে। তাই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

ভারতের জন্য কতটা ঝুঁকির?
কেরলের কন্নুর থেকে সৌদি আরবের আবু ধাবির উদ্দেশে রওনা দেওয়া বিমান অভিমুখ পরিবর্তন করে ফিরে এসেছে আমেদাবাদে। ছাইয়ের মেঘ ভারতের দিকে ভেসে আসছে ঘোষণার পরই ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) দ্রুত সব বিমান সংস্থাগুলির জন্য সতর্কতা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, কোনও বিমানই ছাই মাখা মেঘের মধ্যে বা এর কাছাকাছি দিয়ে উড়তে পারবে না। রুট বদলানো, অতিরিক্ত জ্বালানি নেওয়া এবং ছাই-প্রভাবিত এলাকায় না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাইলটদের বলা হয়েছে, ইঞ্জিনে কোনও অস্বাভাবিক শব্দ বা গন্ধ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে তা জানাতে হবে।

ভারত থেকে প্রতিবেশী এশিয়ান দেশগুলিতে কিছু বিমানও প্রভাবিত হয়েছে।