আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন অভিষেক শর্মা। সেই ঝড়ে একপ্রকার উড়েই গেলেন শাহিন আফ্রিদি, হ্যারিস রউফরা। 

পাকিস্তানের রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান অভিষেক। পরে হ্যারিস রউফের সঙ্গে তাঁর লেগে যায়। খেলার শেষে অভিষেক শর্মা বলেন, ''খুব সহজ ব্যাপার ছিল। ওরা আমাদের দিকে কোনও কারণ ছাড়াই যে ভাবে তেড়ে আসছিল তা আমার পছন্দ হয়নি। আগ্রাসী ব্যাটিং করাই ছিল একমাত্র ওষুধ। ওই ওষুধই দিয়েছি ওদের।''

এত সহজে পাকিস্তানকে মাটি ধরানো সম্ভব? কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতাই নেই। ভারত প্রতিবার নামে আর হাসতে হাসতে ম্যাচ জিতে যায়। এখনও পর্যন্ত দুই প্রতিবেশি দেশ ১৫ বার মুখোমুখি হয়েছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। তার মধ্যে পাকিস্তান জিতেছে ১২ বার। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে কোনও লড়াই-ই নেই দুই দেশের মধ্যে। সাংবাদিক বৈঠকেও এই একই প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে। যার উত্তরে সূর্য বলেন, ''স্যর, আমার একটাই অনুরোধ, এবার থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শত্রুতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলাটা বন্ধ করা হোক।'' সেই সাংবাদিক বলেন, খেলার মানের কথা বলা হয়েছে। শত্রুতা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বলা হয়নি। 

আরও পড়ুন: 'একে ৪৭' উদযাপন নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে, কী বললেন ফারহান?

সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে চলে যাওয়ার সময়ে সূর্য বলেন, ''স্যর, রাইভ্যালরি বলুন বা স্ট্যান্ডার্ড, সবই এক। রাইভ্যালরি কী? দুটো দল যদি ১৫টা ম্যাচ খেলে আর জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যান হয় ৮-৭, তাহলে সেটাকে রাইভ্যালরি বলে। এখানে ১২-৩। কোনও লড়াই-ই নেই।'' 

রবিবার সুপার ফোরের লড়াই খুব সহজেই জিতে নিয়েছে ভারত।  ভারত জেতার পরে শোনা গেল 'চক দে'। ম্যাচ জেতায় সুপার ফোরের পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে ভারত।
পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ৫ উইকেটে ১৭১ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে ভারত দাদাগিরি দেখাল। অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের ব্যাট শুরু থেকেই চলতে শুরু করল। শাহিন আফ্রিদিকে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে অভিষেক রান তাড়া শুরু করেছিলেন। খেলা যত এগোল ভারতের দুই ওপেনার ততই মারমুখী ব্যাটিং শুরু করে দিলেন। অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ধুয়ে গেল পাক বোলিং আক্রমণ। ৯.৫ ওভারেই ভারত ১০৫ করে ফেলে। শুভমান গিল ৪৭ রানে আশরাফের বলে বোল্ড হন। তার আগে অবশ্য চোট পান গিল। 
তাতে ছন্দ নষ্ট হয়। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব খাতা না খুলেই ফেরেন। ভারত দ্রুত গিল ও সূর্যের উইকেট হারায়। ১০৫ রানে এক উইকেট থেকে ১০৬ রানে ২ উইকেট হয়ে যায়। তাতেও দমে যাননি অভিষেক। তিনি রুদ্রমূর্তি ধরেন। নাগাড়ে আক্রমণ করে যান পাক বোলারদের। পাক বোলাররা কোথায় বল ফেলবেন তাই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। শেষমেশ আবরারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। যাওয়ার আগে ৩৯ বলে ৭৪ করে যান তিনি। ৬টি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। আউট হওয়ার আগের বলেই ছক্কা মেরেছিলেন অভিষেক। পরের বলেও মারতে গিয়ে ডাগ আউটে ফেরেন। বাকি কাজটা সারেন তিলক (১৯ বলে ৩০*) ও হার্দিক (৭*)। ৭ বল বাকি থাকতে ছয় উইকেটে ভারত ম্যাচ জেতে। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল পাকিস্তান বোধহয় লড়াইয়ে ফিরে এসেছে। কিন্তু অভিষেক ও গিল যে মঞ্চে ভারতকে বসিয়ে দিয়ে যান, তাতে ম্যাচ জেতা ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ক্ষতে নুনের ছিটে সূর্যর, 'ভারত-পাক লড়াই বলা বন্ধ করুন' ...