আজকাল ওয়েবডেস্ক: টেস্ট সিরিজ হারের পর একদিনের সিরিজেও হোঁচট খেয়েছে টিম ইন্ডিয়া। তিন ম্যাচের সিরিজের শুরুতে এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে সমতা ফেরায় দক্ষিণ আফ্রিকা। গৌতম গম্ভীরের ট্যাকটিক্স নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন,অতিরিক্ত অলরাউন্ডার প্রীতি দলের জন্য বিপদ ডেকে আনছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে চারজন অলরাউন্ডার খেলানো হয়। দলে ছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর, অক্ষর প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা এবং নীতিশ কুমার রেড্ডি। ঘরের মাঠে ৪০৮ রানে হারে টিম ইন্ডিয়া। টেস্টের ইতিহাসে ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। ক্রিকেটের সবচেয়ে কঠিন ফরম্যাটে স্পেশালিস্টদের ওপর নির্ভর না করে অলরাউন্ডার বাড়ানোর মনোভাবকে সমর্থন করেনি বহু ক্রিকেট পণ্ডিত। কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচের সমর্থনে জ্যাক কালিস। 

একাধিক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ গম্ভীরের স্ট্র্যাটেজির বিরোধিতা করলেও, প্রাক্তন প্রোটিয়া তারকা মনে করেন, এই পদ্ধতি দলে ভারসাম্য বাড়ায়। কালিস বলেন, 'দলে অলরাউন্ডারদের সংখ্যা বাড়ালে ভারসাম্য বাড়ে। ব্যাটিং গভীরতা বাড়ে। সেক্ষেত্রে টপ অর্ডার এবং মিডল অর্ডার কিছুটা ঝুঁকি নিতে পারে। তাই অলরাউন্ডাররা দলে বড় ভূমিকা নেয়। দলের ভারসাম্য বাড়ে। আমার মতে, সব ফরম্যাটে অলরাউন্ডাররা গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিশেষ করে টি-২০ ক্রিকেটে ওরা বড় ভূমিকা নেয়।' দ্বিতীয় টেস্টে অলরাউন্ডারদের সংখ্যা বাড়ানো হলেও, ওয়াশিংটন সুন্দর এবং নীতিশ রেড্ডিকে সেইভাবে বোলার হিসেবে ব্যবহার করা হয়নি। যা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন গম্ভীর। 

গুয়াহাটিতে ভারতের বড় ব্যবধানে হারের পর অনিল কুম্বলে বলেন, 'টেস্ট ক্রিকেটে আলাদা মাইন্ডসেট দরকার। এত বেশি অলরাউন্ডার খেলানো যায় না। দলে একাধিক পরিবর্তন, ব্যাটিং অর্ডারে বারবার বদল। এগুলোর প্রভাব পড়ে।' প্রাক্তন সতীর্থের সঙ্গে একমত ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, 'ভারত টেস্ট ক্রিকেটে যেভাবে এগোচ্ছে, খুবই হতাশাজনক। অলরাউন্ডারদের নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়। বিশেষ করে যখন ওদের দিয়ে বল করানো হয় না। দুর্বল ট্যাকটিক্স।' ভারতের প্রাক্তনীরা গম্ভীরের স্ট্র্যাটেজির সমালোচনা করলেও, কালিসকে পাশে পেলেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ। 

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ০-২ তে টেস্ট সিরিজ হারের পর চাপে আছেন গৌতম গম্ভীর। বিশেষজ্ঞ থেকে ফ্যান, সমালোচনার মুখে টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ। প্রথম ভারতীয় কোচ হিসেবে ঘরের মাঠে পরপর দুটো সিরিজে ওয়াইটওয়াশ। এমন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার রাস্তা বাতলে দিলেন রবি শাস্ত্রী। ভারতের প্রাক্তন কোচ মনে করছেন, গম্ভীরকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরার বার্তা দেন।