আজকাল ওয়েবডেস্ক: সেই তো হারতে হল, রো-কো-কে সরিয়ে লাভ কী হল!
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে গুয়াহাটিতেও লজ্জার হার। একাধিক লজ্জার নজির গড়ল টিম ইন্ডিয়া।
গৌতম গম্ভীর জমানাতে ভারতীয় ক্রিকেট তলানিতে এসে ঠেকছে। এই লজ্জার রেকর্ডের জন্যই কি গৌতম গম্ভীরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল দলের রিমোট কন্ট্রোল?
দেশের মাটিতে তৃতীয়বার চুনকাম হল ভারত। যার মধ্যে শেষ দু’বার চুনকাম হয়েছে গম্ভীরের আমলে। ২০২৪ সালে নিউজিল্যান্ড ও এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে।
২৫ বছর পর দুটি মরশুম মিলিয়ে ভারত পাঁচটি টেস্টে হেরেছে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুটি হারল।
স্পিন ও পেস, দুটোর ক্ষেত্রেই ভারতীয়দের দুর্বলতা চোখে পড়ল। তাহলে আর রোহিত আর কোহলিকে সরে যেতে বাধ্য করা হল কেন?
কেন? কেন? কেন? এই কেনর উত্তর খুঁজছে ভারতীয় ক্রিকেট। দুই তারকা এখনও ফর্মে রয়েছেন। এখনও তাঁরা ম্যাচ বের করতে পারেন। তাঁদের মিলিত অভিজ্ঞতা এই ভারতীয় দলের সবাইকে যোগ করলেও হবে না। তবুও....।
পাবলিক ডিমান্ড কোহলি-রোহিতের দিকেই। সে যতই গৌতম গম্ভীর অগ্রাহ্য করুন না কেন! তিনি আজ সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে বললেন, ''টেস্ট ক্রিকেট খেলার জন্য সবথেকে ফ্লামবোয়েন্ট ও প্রতিভাবান ক্রিকেটারের দরকার নেই। কঠিন মানসিকতা ও সীমিত প্রতিভার ক্রিকেটার দরকার আমাদের।''
ঘুরিয়ে কি গৌতম গম্ভীর ফের জানিয়ে দিলেন, তাঁর দলে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির প্রয়োজন নেই? হয়তো তাই। হয়তো নয়। কিন্তু গম্ভীরের এহেন বক্তব্য নিয়ে আলোচনা হবেই। ঘরের মাঠেও এখন গম্ভীরের ভারত হারছে। কোচ হিসেবে তাঁর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ঠিক আছে, কিন্তু টেস্টে তিনি অচল। ওয়ানডে-তে এখনও রোহিত-কোহলি রয়েছেন। আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তো ক্রিকেটটাই কম। ফলে ওই দুই ফরম্যাটে জয়ের পর গম্ভীর দাবিই করতে পারেন না, তাঁর দক্ষতায় জিতছে ভারত। টেস্ট ফরম্যাটে চূড়ান্ত দক্ষতার পরিচয় দিতে হয়, সেখানেই ব্যর্থ গম্ভীরের সেনানীরা। গম্ভীর ভাঙবেন তবু মচকাবেন না। তবুও তিনি বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন। তা গম্ভীরেরও অজানা নয়। তাই গুয়াহাটি টেস্ট হেরে গম্ভীর শুরুতেই জানিয়ে দিলেন, ‘এখানে আমি আর কী বলব। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডই নেবে সিদ্ধান্ত। আমি আগেও বলেছি ভারতীয় ক্রিকেট গুরুত্বপূর্ণ। কোচ গম্ভীর নয়।’ এরপরই কিছুটা সাফাইয়ের সুরে বলেছেন, ‘আমিই সেই ব্যক্তি যে ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ ড্র করে ফিরেছে। আমার কোচিংয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এশিয়া কাপে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই দলটা এখনও শেখার পদ্ধতিতে রয়েছে।’
গম্ভীর আরও বলেছেন, হারের দায় সবার। কিন্তু সবটাই যেন আমার উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোচের কথায়, ‘দায় তো সবারই। তবে শুরুটা আমাকে দিয়েই হবে। আসলে এটাই হল রূপান্তরের (ট্রানজিশন) শুরু। আপনাকে সময় দিতেই হবে।’ সময় নিন। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতি হবে তো! এই গম্ভীর সমস্যা থেকে বেরোতে পারবে তো ভারতীয় ক্রিকেট?
