আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৯৭৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলার দ্বিতীয় মিনিটেই নেদারল্যান্ডসকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পেনাল্টি থেকে তদানীন্তন পশ্চিম জার্মানির জালে বল জড়়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই জোহান নিসকেন্স চলে গেলেন একেবারে নিঃশব্দেই।
৭৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন নেদারল্যান্ডসের এই প্রাক্তন তারকা। তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে আলজেরিয়ায় কোচিং করাতে গিয়ে সেখানেই প্রয়াত হন নিসকেন্স। তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ জোহান ক্রুয়েফ চলে গিয়েছিলেন ২০১৬ সালে। নিসকেন্সও পরপারে এবার মিলিত হবেন ক্রুয়েফের সঙ্গে।
১৯৭৪ সালের নেদারল্যান্ডস ফুল ফুটিয়েছিল বিশ্বকাপে। কিন্তু ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের জার্মানির কাছে হেরে যাওয়ায় রূপকথা তৈরি করা আর হয়নি নেদারল্যান্ডসের। তার চার বছর পরে ফের বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছয় হল্যান্ড। কিন্তু সেবারও ভাগ্য সহায় হয়নি নেদারল্যান্ডসের। মারিও কেম্পেস, পাসারেলার আর্জেন্টিনার কাছে হার মানতে হয় কমলা জার্সিধারীদের।
দু' বারের ফাইনালিস্ট হয়েও বিশ্বকাপ ছোঁয়া হয়নি নিসকেন্সের। ডাচ ফুটবল সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়, বিশ্ব কেবল দারুণ প্রতিভাসম্পন্ন একজন ফুটবলারকেই শুধু হারাল না, একজন সহানুভূতিশীল, সুন্দর মনের মানুষকেও চিরতরে বিদায় জানাল।
প্রাক্তন ডাচ তারকা বক্স টু বক্স মিডফিল্ডার ছিলেন। সক্ষমতা, দৃঢ়তা, এবং দক্ষতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন নিসকেন্স। কেরিয়ারের বেশিরভাগ সময় আয়াক্স আমস্টারডামের হয়েই খেলেছেন তিনি। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৩-এর মধ্যে তিনবার ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছেন।
টোটাল ফুটবলের ধারা বার্সেলোনায় নিয়ে গিয়েছিলেন জোহান ক্রুয়েফ। সেখানে সতীর্থ জোহান ক্রুয়েফের সঙ্গেও ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছিলেন। বুটজোড়া তুলে রাখার পরে জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেছেন নিসকেন্স। ১৯৯৮ সালে নেদারল্যান্ডস চতুর্থ স্থানে শেষ করেছিল। পরবর্তীকালে ফ্র্যাঙ্ক রাইকার্ডের সহকারী হিসেবে বার্সেলোনায় কাজ করেন নিসকেন্স।
