আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ ড্রয়ে একাধিক ভাল পারফরমেন্স রয়েছে। কিন্তু সবাই প্রত্যাশার মান রাখতে পারেনি। গোটা সিরিজ জুড়ে যশপ্রীত বুমরাকে নিয়ে আলোচনা চলেছে। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য পাঁচের মধ্যে তিনটে টেস্টে খেলানো হয় তাঁকে। কিন্তু এবার ইংল্যান্ড সিরিজে তারকা পেসারের অবদান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ইরফান পাঠান। দুটো টেস্ট না খেলেও সিরিজে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী হিসেবে শেষ করেন বুমরা। ১৪ উইকেট তুলে নেন। গড় ২৬.০০। তারমধ্যে রয়েছে দুটো পাঁচ উইকেট। পাঠান মনে করেন, কঠিন মুহূর্তে 'কিলার' মনোভাবের অভাব ছিল বুমরার মধ্যে। ইরফান পাঠান বলেন, 'দশের মধ্যে বুমরাকে ছয় দেব। সিনিয়র প্লেয়ারদের ওপর ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব থাকে। ও তিনটে টেস্ট খেলেছে। ভারত তারমধ্যে একটাও জেতেনি।'
নিজের দাবির সমর্থনে উদাহরণ দেন প্রাক্তন তারকা। সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রসঙ্গ টানেন। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলে নেন বুমরা। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে একটিও উইকেট পাননি। ৩৭০ রান তাড়া করে জেতে ইংল্যান্ড। এই প্রসঙ্গে ইরফান বলেন, 'এরকম গুরুত্বপূর্ণ সময় দলের প্রধান ম্যাচ উইনারকে একটা পথ খুঁজে বের করতে হয়। ওভার দ্য উইকেট, অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট, ইয়র্কার, স্লো বল, বাউন্সার। সব ধরনের বল দিয়ে চাপে ফেলা উচিত ছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের। কিন্তু সেটা হয়নি। লিডস টেস্টে চাপ তৈরি করতে পারেনি। ইংল্যান্ড অনায়াসে রানের পাহাড়ে পৌঁছে যায়। বুমরা একটাও উইকেট নেয়নি।'
যে তিনটে টেস্টে বুমরা খেলেন, সেখানেও লম্বা স্পেল করতে চাননি। এই বিষয়টির উল্লেখ করেন ভারতের প্রাক্তন তারকা। ইরফান বলেন, 'অনেক সময় টানা ষষ্ঠ ওভার ওকে দিয়ে বল করানোর প্রয়োজন ছিল। জো রুটকে ও ১১ বার আউট করেছে। কিন্তু লর্ডস টেস্টে বুমরা টানা মাত্র পাঁচ ওভার বল করে। আরও একটা ওভার করা উচিত ছিল। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে লর্ডসের বোর্ডে নিজের নাম তুলেছে। কিন্তু একনম্বর বোলারের থেকে সবাই একনম্বর পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা করে। আমার মনে হয়েছে, সেটা ও করতে পারেনি।'
প্রসঙ্গত, যশপ্রীত বুমরার ফিটনেস এবং ওয়ার্কলোড নিয়ে বেজায় সমস্যায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের কঠিন সিরিজের মধ্যে তিনটেতে খেলেন তারকা পেসার। এরপর এশিয়া কাপ। কিন্তু সেই টুর্নামেন্টে অনিশ্চিত বুমরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ এবং ম্যাচের কথা ভেবে এবার তারকা পেসারকে সব সিরিজে খেলানো হবে না। তাঁকে যথাসম্ভব বেশি বিশ্রাম দেওয়ার পক্ষপাতি ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী তেমনই জানা যাচ্ছে। সর্বোচ্চ স্তরে তাঁর কেরিয়ার দীর্ঘমেয়াদী করতেই এই সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে আইসিসি টুর্নামেন্টে এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে তাঁকে খেলাতে চায় ভারতীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক। পরের বছর মার্চ এবং এপ্রিলে ঘরের মাঠে টি-২০ বিশ্বকাপ। সেটাই লক্ষ্য ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপের জন্য তাঁকে ফিট রাখতে চায়।
