আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ অতীত। সামনে এশিয়া কাপ। কিন্তু অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া সফর দিয়ে আবার বাইশ গজে প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে বিরাট কোহলির। ইউ টিউব চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে তারকা ক্রিকেটারের খেলার স্টাইল এবং নিজের কেরিয়ার নিয়ে অকপট শ্রীশান্ত। কোহলির সঙ্গে ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। তিনি মনে করেন, প্লেয়ার হিসেবে সাফল্য পেতে কোহলির আগ্রাসন খুবই জরুরি। জানান, আগ্রাসী মনোভাবের সঙ্গে প্যাশনও রয়েছে। শ্রীশান্ত বলেন, 'অনেকে যেটাকে আগ্রাসন বলে, আমি সেটাকে প্যাশন বলি। বিরাট কোহলি কি আগ্রাসী? আমার মনে হয়, ও ক্রিকেটের মধ্যে ডুবে যায়। সবাই বলে ওর প্রচণ্ড আগ্রাসী মনোভাব। আমার মনে হয়, সেটা কমে গেলে, ও আর একই প্লেয়ার থাকবে না।' সাদা বলের ক্রিকেটে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন কোহলি। তবে দুই মহাতারকার ভবিষ্যৎ এখনও ঝুলে রয়েছে। অনেকেই মনে করছে, ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবে না রো-কো জুটি।
২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের পর বিরাট এবং শ্রীশান্ত, দুই ক্রিকেটারের কেরিয়ার পথ বদলে গিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে টেস্ট অভিষেক হয় কোহলির। শ্রীশান্ত সেই সফরে অংশ নেননি। ২০১১ সালে ভারতের হয়ে শেষ টেস্ট খেলেন তারকা পেসার। প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। সেখানে নতুন উচ্চতায় উঠতে শুরু করেন বিরাট। সাক্ষাৎকারে হরভজন সিংয়ের চড় মারার প্রসঙ্গও ওঠে। মোহালিতে আইপিএলের ম্যাচের পর ঘটেছিল এই ঘটনা। এই ঘটনা তাঁর পরিবারের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলেছে সেটা জানান তারকা পেসার। বিশেষ করে তাঁর মেয়ের মনে। শ্রীশান্ত বলেন, 'আমি যখন মেয়েকে বলি, এটা ভাজ্জি পা, ও আমার সঙ্গে খেলেছে, মেয়ে সরাসরি বলে, না, আমি ওকে হাই বলব না। আমি বুঝতে পারছি না কেন। স্কুলে হয়ত এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই নিয়ে অনেক রকমের গল্প চলে। আমরা ওকে বোঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু তাও ও বলে, কথা বলবে না। পরের দিন কিংবদন্তিদের ম্যাচ চলাকালীন, আমরা বলি ভাজ্জি আমাদের বড় ভাইয়ের মতো। আমার মনে হয় না ও ইচ্ছাকৃতভাবে করেছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটেছে। আমরা দু'জনেই এর থেকে শিক্ষা নিয়েছি।' ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এই নিয়ে বহু চর্চা হয়েছে। ঘটনাটি নিজের জীবন থেকে মুছে ফেলতে চান ভাজ্জি। একটি সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন। ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন দু'জনেই। বিশ্বকাপের পর ৪২ বছরের ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক জীবন শেষ হয়ে যায়। বিশ্বকাপ ফাইনালই তাঁর খেলা শেষ একদিনের ম্যাচ। একই বছর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলেন। ক্রিকেটজীবনে একাধিক বিতর্কে জড়ান। ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলেও, নিজের ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়ে খুশি।
