আজকাল ওয়েবডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতেছে ভারতের মহিলা দল। তার পরই দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক শান্তা রঙ্গস্বামী বোমা ফাটিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, হরমনপ্রীত কৌরের উপর থেকে নেতৃত্বের ভার লাঘব করা উচিত। নেতৃত্বের হাতবদল করা হোক।

স্মৃতি মান্ধানাকে দেওয়া হোক সেই দায়িত্ব। শান্তা রঙ্গস্বামী যখন এহেন বক্তব্য পেশ করেন, তখন দেশ জুড়ে আনন্দের বন্যা। প্রথমবার ভারতের মহিলা দল বিশ্বকাপ জিতেছে। নেতৃত্বের হাতবদল করার মতো পরিস্থিতি তখন মোটেও নয়। কিন্তু শান্তা রঙ্গস্বামী সেই সময়েই এমন মন্তব্য করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে ভারতের আরেক প্রাক্তন অধিনায়ক অঞ্জুম চোপড়া মুখ খুলেছেন। রঙ্গস্বামীর মন্তব্যে তিনি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন।

দৃশ্যতই অসন্তুষ্ট অঞ্জুম চোপড়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ''প্রতিটি বিশ্বকাপের পরে একটাই মন্তব্য ভেসে আসে। গত চার-পাঁচটা বিশ্বকাপের কথাই ধরা যাক। দেখবেন এই এক কথাই কতবার হয়েছে। ভারত টুর্নামেন্ট হারলে সবাই বলতে শুরু করেন হরমনকে সরিয়ে দেওয়া হোক। ভারত জিতলেও একই কথা ওদের মুখে।'' হরমনপ্রীত ও অঞ্জুমের সম্পর্ক খুবই ভাল। বিশ্বজয়ের পরে অঞ্জুমের সাপোর্টের কথা উল্লেখ করেন হরমন।

কী বলেছিলেন রঙ্গস্বামী? রঙ্গস্বামী বলছেন, ''হরমন ফিল্ডার ও ব্যাটার হিসেবে দুর্দান্ত। তবে ট্যাকটিক্যালি মাঝে মাঝে ভুল করে বসে। ক্যাপ্টেন্সির বোঝা কাঁধ থেকে সরে গেলে আরও অবদান রাখতে পারবে।'' পরবর্তী বিশ্বকাপ ২০২৯ সালে। রঙ্গস্বামী মনে করেন নেতৃত্বের ব্যাটন এবার স্মৃতি মান্ধানার হাতে তুলে দেওয়ার সময়ে এসেছে। তিনি বলেছেন, ''বিশ্বজয়ের পরে নেতৃত্বের হাতবদল হলে তা ভাল দেখায় না। কিন্তু ভারত ও হরমনপ্রীতের স্বার্থে এই পরিবর্তন হলে ভাল হয়। তাতে হরমনেরও ভাল আবার দেশের ক্রিকেটেরও ভাল। ওর মধ্যে এখনও তিন-চার বছরের ক্রিকেট রয়েছে। ফলে নেতৃত্ব ছেড়ে দিলে ক্ষতি কিছু হবে না।'' আগামীদিনের দিকে তাকিয়ে স্মৃতি মান্ধানার হাতে ক্যাপ্টেন্সির আর্মব্যান্ড তুলে দেওয়ার পক্ষপাতী রঙ্গস্বামী।

২০২৫ সালে আর কোনও খেলা নেই হরমনপ্রীতদের। বিশ্বজয়ী দল আবার মাঠে নামবে ১০৫ দিন পর। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবেন হরমনপ্রীতরা। একটি টেস্ট, তিনটি একদিনের ম্যাচ এবং তিনটি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে দু’দল। আগামী অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের প্রথম ম্যাচ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি। সিডনিতে প্রথম টি–টোয়েন্টি ম্যাচে সেদিন মুখোমুখি হবে দু’দল। অর্থাৎ বিশ্বজয়ের ১০৫ দিন পর আবার মাঠে নামবেন হরমনপ্রীতরা। সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি ম্যাচ ১৯ ফেব্রুয়ারি এবং তৃতীয় টি–টোয়েন্টি ম্যাচ ২১ ম্যাচ। সফরের তিনটি একদিনের ম্যাচ হবে যথাক্রমে ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ১ মার্চ। সফরের একমাত্র টেস্টটি পারথে হবে আগামী ৬ থেকে ৯ মার্চ।