আজকাল ওয়েবডেস্ক: একটা আউট ভাগ্য বদলে দিয়েছে হিমাংশু সাংওয়ানের। প্রায় ১২ বছর পরে রঞ্জি খেলতে নামা কোহলির স্টাম্প উড়িয়ে দেন রেলওয়েজের বোলার সাংওয়ান। 

কোহলিকে আউট করার বুদ্ধি তাঁকে দিয়েছিলেন এক বাস ড্রাইভার। অফস্টাম্পের বাইরের লাইনে কোহলির দুর্বলতা রয়েছে। সেই দুর্বলতার কথা মাথায় রেখেই সাংওয়ান বোল্ড করেন তারকা কোহলিকে।

রহস্য ফাঁস করে রেলওয়েজের বোলার বলছেন, ''খেলা শুরুর আগে থেকেই বিরাট কোহলি ও ঋষভ পন্থের দিল্লির হয়ে খেলা নিয়ে কথা হচ্ছিল। আমরা জানতাম না ম্যাচটা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আমরা ধীরে ধীরে জানতে পারি পন্থ খেলবে না। কিন্তু কোহলি খেলবে। আমি রেলওয়েজের পেস আক্রমণকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলাম।'' 

সাংওয়ান শুধু যে কোহলিকে বোল্ড করেন, তা নয়। একসঙ্গে প্রায় তিরিশ হাজার দর্শককে মাঠছাড়া করেন সাংওয়ান। তিনি বলেন, ''আমরা যে বাসে যাচ্ছিলাম, সেই বাসের ড্রাইভার বলেছিলেন বিরাটকে চতুর্থ-পঞ্চম স্টাম্পের লাইনে বল করলে আউট হবে। আমার নিজের উপরে বিশ্বাস ছিল। অন্যের দুর্বলতা নিয়ে বেশি না ভেবে নিজের শক্তির উপরে জোর দিয়েছিলাম। আমি নিজের শক্তির উপরে ভরসা রেখে বল করেছিলাম এবং কোহলির উইকেট পাই।''

২৯ বছর বয়সী হিমাংশু সাংওয়ানের জন্ম দিল্লিতেই। ১৯৯৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ২০১৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিজয় হাজারে ট্রফির মাধ্যমে রেলওয়েজের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর। এরপর সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে টি-টোয়েন্টি অভিষেক এবং রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক করেন। দিল্লির বিরুদ্ধে এই ম্যাচের আগে, তিনি ২৩টি রঞ্জি ট্রফি ম্যাচে ৭৭টি উইকেট, ১৭টি বিজয় হাজারে ম্যাচে ২১টি উইকেট এবং ৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫টি উইকেট নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, রেলের চাকরি পাওয়ার আগে সাংওয়ান খেলেছেন দিল্লির হয়েছে।

সেই সাংওয়ান তারকা কোহলি সম্পর্কে আরও বলেন, ''আমাদের ইনিংস শেষ হওয়ার পরে ড্রেসিং রুমে যাচ্ছিলাম, সেই সময়ে বিরাট কোহলি মাঠে আসছিল। আয়ুষ বাদোনি আর বিরাট কোহলি মাঠেই ছিল। আমাকে দেখে বিরাট ভাইয়া হাত ধরে বলে, ''খুব ভাল বল করেছো।'' 

পরে মধ্যাহ্ন বিরতির সময়ে দিল্লির ড্রেসিং রুমে সাংওয়ান যান কোহলির সই সংগ্রহের জন্য। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপ্পন করে সাংওয়ান বলেন, ''যে বলে আমি বিরাট ভাইয়াকে বোল্ড করেছিলাম, সেই বল নিয়েই সই সংগ্রহ করতে যাই বিরাট ভাইয়ার কাছে। বিরাট ভাইয়া আমার কাছে জানতে চায়, এটাই কি সেই বল। পরে আমাকে বলে, তুই তো মজা পেয়ে গিয়েছিস রে।''