আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুপার কাপ ফাইনাল আর কিছুক্ষণ পরেই। ইস্টবেঙ্গলের জন্য সুখবর। হামিদ আহদাদ ফিরলেন। তবে প্রথম একাদশে তাঁকে রাখা হয়নি। পরিবর্ত হিসেবে তাঁকে নামানো হতে পারে। ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের সামনে এফসি গোয়া। লাল-হলুদ ব্রিগেড পাবে না কোচ অস্কার ব্রুজোঁকে। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে লাল কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ। শেষ চারের লড়াইয়ে ইস্টবেঙ্গল পায়নি হামিদকেও। তিনি গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছিলেন। পায়ে অস্বস্তি বোধ করায় তাঁকে নামানো হয়নি। রেখে দেওয়া হয় ফাইনালের জন্য। ফাইনালে পরিবর্ত হিসেবে দেখা যেতে পারে মরোক্কান গোলমেশিনকে।
শেষ চারের লড়াইয়ে মহম্মদ রশিদ ১২ মিনিটে জোরালো শটে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন।
গোল করার পরে গ্যালারির দিকে হাতটা উঁচু করে দেখালেন। তার পরে চুম্বন ছোড়েন।
গ্যালারিতে প্রভাত লাকরার সঙ্গে তখন বসে হামিদ আহদাদ। মরোক্কান স্ট্রাইকার এদিন পায়ে অস্বস্তি বোধ করায় কোচ অস্কার ব্রুজোঁ আর ঝুঁকি নেননি। হামিদকে স্কোয়াডে রাখা হয়নি। সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বন্ধু মাঠের বাইরে। তাই রশিদ গোল করে আহদাদের উদযাপন অনুকরণ করলেন। গোলটা উৎসর্গ করলেন মরোক্কান তারকাকে।
একসময়ে রশিদ ও হামিদ ছিলেন একে অপরের প্রতিপক্ষ। ইস্টবেঙ্গল তাঁদের মিলিয়ে দিয়েছে।
মরশুমের গোড়ায় ইস্টবেঙ্গলের টিম হোটেলে সদ্য পা রাখা হামিদকে স্বাগত জানাতে দেখা গিয়েছিল রশিদকে। দু'জনেই আরবি ভাষায় কথা বলেন। বছর ছয়েক আগে হামিদ ও রশিদ একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে মুখোমুখিও হয়েছিলেন। তখন হামিদ খেলতেন মরোক্কোর জনপ্রিয় ক্লাব রাজা কাসাব্লাঙ্কায়। আর রশিদের পিঠে ছিল প্যালেস্তাইনের হিলাল আল কুদসের জার্সি।
আরব ক্লাব চ্যাম্পিয়ন্স কাপের প্রথম রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিলেন হামিদ ও রশিদ। সেও ছ'বছর আগের প্রতিযোগিতায়। প্রথম লেগে রাজ কাসাব্লাঙ্কা ১-০ গোলে হারায় হিলাল আল কুদস ক্লাবকে। দ্বিতীয় সাক্ষাতেও রশিদের দল হার মানে হামিদের রাজা কাসাব্লাঙ্কার কাছে। সেই ম্যাচের ফলাফল হয়েছিল ২-০। অর্থাৎ দু'বারই হামিদ জেতেন। রশিদ জেতার সুযোগ পাননি হামিদের বিরুদ্ধে।
এখন দুই তারকার একই মন্ত্র--ইস্টবেঙ্গল। তাঁদের দু'জনের শ্বাসপ্রশ্বাসে লাল-হলুদ।
