আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছেলেরা পারছে না। কিন্তু মেয়েদের জন্যই লাল-হলুদ জার্সি আরও উজ্জ্বল।
বিদেশি দলের বিরুদ্ধে চিরকালই ইস্টবেঙ্গল নজরকাড়া পারফরম্যান্স করে। সেই পরম্পরা এখন বহন করছে মহিলা দলও।
মহিলাদের সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের খেলায় ইস্টবেঙ্গল ২-০ গোলে হারাল পাকিস্তানের করাচি সিটিকে।
আগের ম্যাচে ভুটানের ক্লাব ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেড লেডিজ দলকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।
পরপর দুই ম্যাচে জিতল লাল-হলুদের মেয়েরা। অস্কার ব্রুজোঁর নেতৃত্বাধীন ইস্টবেঙ্গল সুপার কাপ ফাইনালে হার মেনেছে। তার আগে শিল্ডের ফাইনালে উঠেও হেরে গিয়েছিল।
সেই জায়গায় মহিলাদের দল বিদেশের মাঠে বিদেশি দলের বিরুদ্ধে দুরন্ত ছন্দে ধরা দিচ্ছে।
ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্পর্কের বরফ এখনও গলেনি। অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে খেলার মাঠেও দুই দেশের মধ্যে দুর্দান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
এশিয়া কাপে ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে মহানাটক ঘটে গিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল-করাচি সিটি এফসির মধ্যে ফুটবল দ্বৈরথেও সেয়ানে সেয়ানে টক্কর আশা করেছিলেন ফুটবলভক্তরা।
কিন্তু ইস্টবেঙ্গল সেই ম্যাচ ২-০ গোলে জিতে নিল। প্রথম গোটি করেন সুলঞ্জনা। ইস্টবেঙ্গলের ফেসবুক পেজে তাঁর গোলের পরে ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, 'ঘরের মেয়ে, দেশের মেয়ে।' খেলার পাঁচ মিনিটেই গোলটি করেন সুলঞ্জনা। পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের শটে গোলটি করেন তিনি। ৪৯ মিনিটে রেস্টি দ্বিতীয় গোলটি করেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে। করাচি সিটি এফসি-র সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচটিকে
বলা হচ্ছিল খেলার থেকেও আরও বেশি কিছু। দেশের সম্মান, দেশের গর্ব জড়িত ছিল। ৪৯ মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরে গোলসংখ্যা আর বাড়ায়নি ইস্টবেঙ্গল।
গোল আর না দিলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছে। শারীরিক দক্ষতা, স্কিল ও দলগত দিক থেকে ইস্টবেঙ্গল বহু এগিয়েছিল করাচির ক্লাবের থেকে। তার প্রতিফলনও দেখা গেল খেলায়। এই ম্যাচ জিতে শীর্ষ স্থানে পৌঁছলেন ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা।
