আজকাল ওয়েবডেস্ক: আহাল এফসির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ঘরের মাঠে হারতে হয়েছে মোহনবাগানকে। কিন্তু ম্যাচের ফলাফল ছাড়াও আরও একটা বিষয় চোখে পড়েছে বাগান সমর্থকদের। আহাল এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষে কোচ মলিনার সঙ্গে কোনও একটা বিষয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বাগানের প্রাণভোমরা দিমিত্রি পেত্রাতোস। তারপরেই বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে যে মোহনবাগান ছাড়তে চলেছেন দিমি। বৃহস্পতিবার রাতে ইনস্টগ্রামে দিমিত্রি মোহনবাগানের জার্সি পরে দুটি ছবি পোস্ট করেন। একটিতে দেখা যায়, তিনি সমর্থকদের দিকে হাত তুলে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। অন্য আর একটি ছবি গত ম্যাচের।
মোহনবাগান ছাড়তে চলেছেন দিমিত্রি পেত্রাতোস? সবুজ মেরুনের প্রাণভোমরাকে নিয়ে হঠাৎই জল্পনা
সেখানে সাইডলাইনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছেন দিমিত্রি। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা ছড়ায় তবে কি বাগান ছাড়তে চলেছেন পেত্রাতোস? এই জল্পনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে সমর্থকদের মধ্যেও। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানাচ্ছেন, দিমিত্রিকে মাঠে নামার সুযোগ দেওয়া হোক। অতীতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পেত্রাতোস গোল করে জিতিয়েছেন সবুজ মেরুনকে। তাঁকে যেন এইভাবে ছেড়ে না দেওয়া হয়। তবে এখনও ক্লাবের তরফে সরকারিভাবে কিছুই ঘোষণা করা হয়নি, পুরোটাই জল্পনা।

তবে এখন ট্রান্সফার উইন্ডো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন কি পেত্রাতোসের মতো অভিজ্ঞ এবং মোহনবাগানের পালস বোঝা ফুটবলার সরে যাবেন? এবার তিনি যখন দমদম বিমানবন্দরে পা রেখেছিলেন, তখন মোহনবাগান সর্থকরা কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তাঁকে। মোহনবাগানের প্রাণভোমরা তিনি। মরশুম শুরুর আগে তিনি নিশ্চয় এমন ভাবে দলকে সমস্যায় ফেলে চলে যাবেন না। বিষয়টা পুরোটাই জল্পনা হয়তো। কিন্তু দিমির পোস্ট এবং তাঁকে কেন্দ্র করে জল্পনা কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের মনে আলোড়ন তৈরি করেছে।

মোহনবাগানের পরবর্তী ম্যাচ ইরানের ক্লাব সেপাহানের সঙ্গে। ৩০ সেপ্টেম্বর ইরানে হবে সেই ম্যাচ। ইরানের ক্লাবের বিরুদ্ধে নামার আগে কিন্তু ভিসা সমস্যায় সবুজ-মেরুনের চার বিদেশি ফুটবলার-জেসন কামিন্স, দিমিত্রি পেত্রাতোস, টম অলড্রেড ও জেমি ম্যাকলারেন। ইরানে যাওয়ার ভিসা এই চার ফুটবলার পাবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। গতবছরও ইরানে খেলতে যাওয়ার আগে ফুটবলারদের ভিসা নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অশান্ত পরিস্থিতির জন্য মোহনবাগান আর যায়নি ইরানে।
কলকাতায় এবার যখন পুজো, সেই সময়ে মোহনবাগান খেলতে যাবে ইরানে। সেই ম্যাচের আগেও চার বিদেশি খেলোয়াড় আদৌ ভিসা পাবেন কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। প্রথম ম্যাচে আহাল এফকে-র বিরুদ্ধে বিদেশি ফুটবলার নামানো নিয়ে স্প্যানিশ মায়েস্ত্রোর সমালোচনা শুরু হয়েছে। কামিন্স, আলবার্তো ও অলড্রেডকে নিয়ে শুরুটা করলেও দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাকলারেন, রবসনকে নামান মোলিনা। কিন্তু পেত্রাতোসকে নামাননি স্প্যানিশ কোচ। যা নিয়ে পেত্রাতোস ও মোলিনার মধ্যে ব্যক্তিত্বের সংঘাত হয়েছে বলে জল্পনা।
যদিও মলিনা কিন্তু প্রথম ম্যাচে হার নিয়ে ভেঙে পড়ছেন না। ঘুরে দাঁড়াবেন বলেই বিশ্বাসী মোলিনা। কেন হাতে ছয় বিদেশি থাকা সত্ত্বেও এই কম্বিনেশনে দল নামালেন? অদ্ভুত যুক্তি খাঁড়া করেন বাগান কোচ। মলিনা বলেন, ''আমার যেটা ভাল কম্বিনেশন মনে হয়েছে, যারা ম্যাচ জেতাতে পারবে, আমি সেই দল খেলিয়েছি।'' ডুরান্ড কাপের পর প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। এটা যে কিছুটা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, মেনে নেন বাগান কোচ। তবে পাশাপাশি দাবি করেন, একটা গোল হলেই ম্যাচের রেজাল্ট অন্যরকম হতে পারত।''
