আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক শান মাসুদ এবং কোচ জেসন গিলেসপির ওপর আর দল নির্বাচনের পূর্ণ দায়িত্ব থাকছে না। সূত্রের খবর, তাঁদের ক্ষমতা ছেঁটে ফেলল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নতুন নির্বাচনী কমিটি। সম্প্রতি অধিনায়ক এবং কোচের ভূমিকা বদলে ফেলা হয়েছে। দল নির্বাচন এবং প্রথম একাদশ বাছাই নিয়ে তাঁরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। বোর্ডের এক সূত্র জানান, 'শান এবং গিলেসপির সঙ্গে আলোচনা করেই দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম একাদশ বাছাই করা হয়েছে। কিন্তু প্রথম টেস্টের মতো দল সম্পর্কে আর তাঁরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।' ভোটিং সদস্য হিসেবে জাতীয় নির্বাচক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় শান মাসুদ, জেসন গিলেসপি এবং গ্যারি কার্স্টেনকে। কিন্তু সম্প্রতি অনেক নিয়মকানুন বদলে ফেলা হয়েছে। মুলতানে প্রথম টেস্ট হারের পর পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি সমস্ত দায়িত্ব তুলে দেন নব নির্মিত নির্বাচক কমিটির হাতে। এই কমিটিতে রয়েছেন আকিব জাভেদ, আলিম দর, আজহার আলি, হাসান চিমা এবং আসাদ শফিক। বোর্ডের সূত্র জানান, 'আশ্চর্যের বিষয়ে হল নির্বাচকরা বর্তমানে মুলতানে আছে। দ্বিতীয় টেস্টের পিচ নিয়ে মাঠকর্মীদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলছে। স্ট্র্যাটেজি সম্বন্ধেও তাঁরাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।' 

পাকিস্তান ক্রিকেটে পর্দার আড়ালে আচমকা ক্ষমতা বদল নতুন নয়। এর আগেও হয়েছে। বেশ কয়েকবার প্যানিক বাটন বাজানো হয়েছে, এবং রাতারাতি ক্ষমতার হস্তান্তরের ঘটনাও রয়েছে। দায়িত্ব পেয়েই দলের তিন তারকা বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং নাসিম শাহকে বাদ দেয় নতুন কমিটি। যদিও হালকা চোটের জন্য দ্বিতীয় টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা নির্বাচকদের জানান শাহিন এবং নাসিম। ঘরোয়া ক্রিকেটের মেন্টরদের সঙ্গে দেখা করার পরই পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্দরমহলে এমন পরিবর্তন আনেন নাকভি। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নতুন নির্বাচক কমিটির সদস্যরাও। মেন্টরদের মধ্যে শোয়েব মালিক, মিসবা উল হক, ওয়াকার ইউনিস এবং সাকলাইন মুস্তাক আলোচনায় হাজির ছিলেন। অনলাইনে যোগ দেন সরফরাজ আহমেদ এবং আসাদ সফিক।