আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফ্রান্সের বিরুদ্ধে তাঁর কামানদাগা ফ্রি কিকে সেই গোল আজও  ফুটবলভক্তদের রক্তের গতি বাড়িয়ে দেয়। 

দূরপাল্লার শটে আরও অনেক গোলই তিনি করেছেন। সেই সব গোল সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে রয়েছে রিলের আকারে। 

সেই রবার্তো কার্লোসের নাকি হৃদযন্ত্রে সমস্যা। অস্ত্রোপচার করতে হয় তাঁকে। যে লেফট ব্যাক ক্রমাগত ওভারল্যাপে যেতেন, অফুরান দমের অধিকারী ছিলেন, সেই কিংবদন্তির হৃদযন্ত্রের সমস্যা ভাবতেও কেমন লাগে। 

পায়ে সমস্যাজনিত কারণে হাসপাতালে গিয়েছিলেন পরীক্ষা করাতে। পরীক্ষার পর জানা যায় তাঁর পায়ে রক্ত জমাট বেঁধেছে। আরও কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। সারা শরীরের এমআরআই করানো হয়। সেখানেই জানা যায় রবার্তো কার্লোসের হৃদযন্ত্র স্বাভাবিকের মতো আচরণ করছে না। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


ক্যাথিটার বসানোর জন্য যেখানে চল্লিশ মিনিট লাগে, সেখানে সময় লাগে প্রায় তিন ঘণ্টা। রবার্তো কার্লোস এখন বিপন্মুক্ত। স্থিতিশীল অবস্থা তাঁর। পর্যবেক্ষণে  রাখা হয়েছে তাঁকে। অতিরিক্ত ৪৮ ঘণ্টা তাঁকে হাসপাতালে থাকতে হবে। চিকিৎসকরা কড়া নজরে রেখেছেন তাঁকে। তাঁর শরীর-স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। 

১৯৯৬ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে খেলেন রবার্তো কার্লোস। ৫২ বছরের লেফট ব্যাক ২০০২ সালের বিশ্বজয়ী ব্রাজিল দলের সদস্য। ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে ১২৫টি ম্যাচ খেলেছিলেন। রিয়ালের হয়ে ৫২৭টি ম্যাচ খেলেছিলেন রবার্তো কার্লোস। ১১ বছরের রিয়াল অধ্যায়ে রবার্তো কার্লোস চারটি লা লিগা খেতাব এবং তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। ২০১২ সালে বুটজোড়া তুলে রাখেন রবার্তো কার্লোস। অবসর নেওয়ার পরে আইএসএলে দিল্লি ডায়নামোজের হয়ে খেলেছেন।