আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৈভবের বিশ্বরেকর্ড। একইসঙ্গে ইতিহাসের পাতায় নাম তুলল বিহার। ৮৪ বলে ১৯০ রান করেন ১৪ বছরের বিস্ময় বালক। তাঁর ব্যাটে ভর করে 'বিশ্বরেকর্ড' বিহারের। লিস্ট এ ম্যাচে এটাই সর্বোচ্চ রান। বুধবার অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে পাহাড়সমান রান করে সূর্যবংশীর দল। ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৭৪ রান বিহারের। এর আগে সর্বোচ্চ রান ছিল তামিলনাড়ুর। ২ উইকেটে ৫০৬ রান ছিল। এবার দক্ষিণের দলকে ছাপিয়ে একনম্বর স্থান অর্জন করে নিল বিহার। তবে বৈভবের রেকর্ড ক্ষণস্থায়ী হয়। ৩৬ বলে শতরান সম্পূর্ণ করেন। কিন্তু ক্ষনিকের মধ্যে সেই রেকর্ড ভেঙে দেন তাঁর দলের সতীর্থ। ৩২ বলে একশো রানে পৌঁছে যান সাকিবুল গণি। শেষপর্যন্ত ১২৮ রান করেন। এই দু'জনের ব্যাটে ভর করে বিশাল রানে পৌঁছয় বিহার। 

বিজয় হাজারে ট্রফিতে একই দিনে রেকর্ডের ছড়াছড়ি। শতরানের পর শতরান। বৈভব সূর্যবংশী, সাকিবুল গণির পর শতরান ঈশান কিষাণের। করেন নতুন রেকর্ড। বিহারের ইনিংসের ভীত গড়েন বৈভব। দলকে বিশাল রানে পৌঁছে দেন পীযূষ কুমার সিং (৭৭), আয়ুশ লোহারুকা (১১৬) এবং সাকিবুল গণি (১২৮)। পাওয়ার প্লেতে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান বৈভব। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেন। লিস্ট এ ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ শতরানকারী হিসেবে এবি ডি'ভিলিয়ার্সের ১৫০ রানের রেকর্ড ভাঙেন বৈভব। বাকি কাজটা সারেন আয়ুশ এবং গণি। অরুণাচলের প্রত্যেক বোলারকে পিটিয়ে ছাতু করে বিহারের ব্যাটাররা। 

বিজয় হাজারেতে অনন্য নজির। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শতরানের পর শতরান। শুরুটা হয় বৈভবকে দিয়ে। তারপর একই ম্যাচে শতরান করেন তাঁরই সতীর্থ সাকিবুল গণি। তারপর পালা ঈশান কিষণের। রাঁচির হয়ে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে ৩৩ বলে শতরান করেন। সর্বকালের সর্বোচ্চ রানের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেটার। একনম্বরে সাকিবুল গণি। তালিকায় চতুর্থ স্থানে নেমে যান সূর্যবংশী। একই দিন মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তালিকায় অদলবদল। এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়নি। শেষপর্যন্ত ৩৯ বলে ১২৫ রান করেন ঈশান। তাঁর কাঁধে ভর করে ৯ উইকেটে ৪১২ রান করে রাঁচি।