আজকাল ওয়েবডেস্ক: আট ম্যাচ টানা অপরাজিত, নবম ম্যাচে ৯০ মিনিটের অদম্য লড়াইয়ের পর ভবানীপুরের কাছে ২-১ ব্যবধানে হার ইউনাইটেড কলকাতা স্পোর্টস ক্লাবের। বৃহস্পতিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামের লাগোয়া মাঠে দুই হেভিওয়েট দলের ম্যাচ হল টানটান। ম্যাচের পর সামাদ আলি মল্লিকরা বলাবলি করছিলেন, চ্যাম্পিয়ন টিমের সঙ্গে খেলাটা সেরকমই হয়েছে। ৯০ মিনিটে একবারের জন্যও মনে হয়নি ম্যাচ একপেশে হয়ে গিয়েছে। আক্রমণ প্রতি আক্রমণে নজরকাড়া ফুটবল উপহার দিলেন দুই দলের খেলোয়াড়রাই। এদিন খেলার প্রথম ১৫ মিনিট চোখ বুজে ইউকে এসসির। দুই উইং গিয়ে পাস খেলে উঠে একের পর এক মাইনাস আছড়ে পড়ছিল ভবানীপুরের বক্সে।

তার ফলও মিলল হাতেনাতে। ম্যাচের ১২ মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে জেকবকে ফাউল করেন ভবানীপুর কিপার শঙ্কর রায়। জেকবের ফ্রি কিক ওয়ালে লেগে বেরিয়ে কর্নার হয়ে যায়। সেই কর্নার থেকেই ১৪ মিনিটে গোল করেন অমিত টুডু। ভিনিল পূজারির কর্নার শঙ্কর রায়ের হাতে লেগে বক্সের মধ্যে পড়ে। জটলার ভেতরে জোরালো শটে গোল করেন অমিত। গোল করে সিনগার্ড দেখিয়ে সেলিব্রেশন করেন। পরের কোয়ার্টার আবার ভবানীপুরের। গোল খেয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়লেও ইউকেএসসি ডিফেন্ডাররা তৈরি ছিলেন। যে কারণে, ভবানীপুর মাঝমাঠে বলের দখল রাখলেও প্রতিপক্ষের বক্সের কাছে এসে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছিল সমস্ত আক্রমণই।

আরও পড়ুূন: 'যাঁদের আপনারা দেখলেন, তাঁরা নেই?', অভিষেককে নিশানার পরেই ভিডিও প্রকাশ তৃণমূলের, পেনড্রাইভ পাঠানো হল অনুরাগের বাড়ি

প্রথমার্ধের শেষে ইউনাইটেড কলকাতা এগিয়ে থাকলেও সেকেন্ড হাফে ম্যাচের রং বদলে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া পরিবর্তন করে নংডম্বা নাওরেম এবং শুভ বিশ্বাসকে নামান ইয়ান ল। খেলার ৬০ মিনিট পর্যন্ত বলের দখল রেখে খেলা ছিল নিয়ন্ত্রণেই। কিন্তু মিনিট দশেকের একটা আক্রমণের ঝড়েই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ দখলে নিয়ে নেন সামাদ আলি মল্লিকরা। দ্বিতীয়ার্ধের ৭৭ মিনিটে বাঁদিক থেকে উঠে এসে গোলে শট রাখেন ভবানীপুরের রিজওয়ান। তাঁর জোরালো শট একবারে তালুবন্দি করতে পারেননি ইউনাইটেড কিপার দেবনাথ মন্ডল। ফিরতি বল থেকে ফাঁকায় গোল করে যান জোজো। 

তবে সমতা ফেরালেও আক্রমণ কমেনি। গোলের দু'মিনিটের মধ্যেই বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় ভবানীপুর। সানাথইয়ের ফ্রি কিক বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেভ করেন দেবনাথ। কিন্তু ফিরতি বল ক্লিয়ার করার জন্য ছিলেন না কোনও ডিফেন্ডার। ফাঁকায় গোল করে যান ক্রেগ। পিছিয়ে পড়ে আক্রমণভাগে খেলোয়াড় বাড়ান ইয়ান ল। কিন্তু শেষের দিকে আর সুযোগ আসেনি। তবে এদিন হারলেও পয়েন্ট টেবিলের ওপরের দিকেই রয়েছে ইউনাইটেড কলকাতা। সুপার সিক্স নিশ্চিত করতে গেলে তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট দরকার। কোচ ইয়ান ল এদিন জানালেন, সমানে সমানে খেলা হয়েছে। কখনও আমরা ভাল খেলেছি, কখনও ওরা। দলের খেলায় খুশি। আশা রাখছি, পরের ম্যাচে জয়ে ফিরতে পারব।