বাংলা -৪ সার্ভিসেস-২
(মনোতোষ, রবি-২, নরহরি) (শ্রেয়স, জুয়েল-আত্মঘাতী)
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাংলায় সন্তোষ ফেরাতে আর এক কদম দূরে নরহরি-রবিরা। রবিবার হায়দরাবাদের বালযোগী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে বঙ্গব্রিগেড ৪-২ গোলে সার্ভিসেসকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল। বাংলার চারে রবির দুই।
তবে সঞ্জয় সেনের ছেলেরা এদিন কঠিন করে সেমিফাইনাল জিতল বললেও বোধহয় অত্যুক্তি করা হবে না। প্রথমার্ধে প্রাধান্য দেখিয়ে ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলা। অনেকেই মনে করেছিলেন প্রথমার্ধেই বাংলা সেমিফাইনাল জিতে নিয়েছে। তখনও অবশ্য গোটা দ্বিতীয়ার্ধের খেলা বাকি।
বিরতির পরই ঘুরে দাঁড়াল সার্ভিসেস। নাকি বঙ্গশিবির আত্মতুষ্ট হয়ে পড়েছিল! সে যাই হোক, সন্তোষ ট্রফি ঘরে আনতে বাংলা কিন্তু আর এক কদম দূরে।
প্রথমার্ধে বাংলার খেলায় যে কামড় দেখা গিয়েছিল, দ্বিতীয়ার্ধে সেই ছবি উধাও। বরং সার্ভিসেসই মরণকামড় দেয়। ফিরে আসার মরিয়া চেষ্টা চালায়। সার্ভিসেসের ক্রমাগত আক্রমণের মুখে একসময়ে ভেঙে পড়ে বাংলার রক্ষণ। দু'গোল করে বাংলার উপর মারাত্মক চাপ বাড়িয়ে ফেলেছিল সার্ভিসেস। শেষের দিকে গোললাইন সেভও করেন বাংলার ডিফেন্ডার।
সেমিফাইনাল কি গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে, এই প্রশ্ন যখন বাংলার সমর্থকদের হৃদয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে,তখনই বাংলা আরও একটি গোল করে সার্ভিসেসের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দিল। সার্ভিসেসের পক্ষে আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি।
খেলার ১৭ মিনিটে মনোতোষ মাজির শট সার্ভিসেসের জাল কাঁপিয়ে দেয়। বাংলা ছোট ছোট পাসে খেলা তৈরি করছিল। চাপ বাড়াচ্ছিল সার্ভিসেসের উপরে। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে রবি হাঁসদা বাংলার হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন। নরহরির কাছ থেকে বল পেয়ে রবি সার্ভিসেসের গোলকিপারকে কাটিয়ে গোল করেন। বাংলা এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। সেই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই নরহরি ৩-০ করে যান। সার্ভিসেসের গোলকিপার এগিয়ে এসেছিলেন গোলমুখ ছোট করে। কিন্তু নরহরি মাথা ঠান্ডা রেখে প্লেসে ৩-০ করে দেন। রবি হাঁসদা ও নরহরির গোলের সময়ে সার্ভিসেসের ডিফেন্সে হাঙরের হাঁ তৈরি হয়।
নরহরি-রবিদের ছোট ছোট পাসে খেলতে খেলতে হঠাৎই প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে ছিন্নভিন্ন করে দেওয়ার দৃষ্টিনন্দন খেলাটাই দ্বিতীয়ার্ধে বদলে গেল। দ্বিতীয়ার্ধে শ্রেয়স হেডে ৩-১ করেন সার্ভিসেসের হয়ে। কিছু বাদে জুয়েলের আত্মঘাতী গোলে ম্যাচের ফলাফল হয়ে যায় ৩-২। গতবারের চ্যাম্পিয়ন সার্ভিসেস আরও একটি গোলের সন্ধানে মরিয়া, তখন ইসরাফুলের পাস থেকে রবি হাঁসদা ৪-২ করে বাংলাকে নিয়ে যান সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে।
