আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিসিসিআই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড। এ কথা সবারই জানা। কিন্তু কতটা ধনী ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড? তাদের কোষাগারে কত অর্থ? টাকার অঙ্ক জানা যায়নি কখনও। সম্প্রতি ক্রিকেট সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইটের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের কোষাগারে রয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
২০২৪ সালের বার্ষিক সাধারণ সভায় যে হিসেব জমা দেওয়া হয়েছিল, তাতে ভারতীয় বোর্ডের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স ছিল ২০ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা। এই এক বছরে সেই অর্থের পরিমাণ আরও বেড়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভা। সেখানে জানা যাবে অর্থের পরিমাণ। সেই সভাতেই হয়তো নতুন প্রেসিডেন্ট খুঁজে নেবে বোর্ড।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র জয় সাবালেঙ্কার, ফাইনালে উইম্বলডনে হারের প্রতিশোধ নিলেন বেলারুশের তারকা...
জানা গিয়েছে, সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে মুম্বইয়ে বোর্ডের সদর দপ্তরে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই সাধারণ সভার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সভাপতি-সহ শীর্ষ পদাধিকারীদের নির্বাচন। রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলিকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে সচিব দেবজিত সাইকিয়া জানিয়েছেন, সভাপতি, সহ-সভাপতি, সচিব, যুগ্ম-সচিব এবং কোষাধ্যক্ষ—এই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদে ভোট হবে। পাশাপাশি অ্যাপেক্স কাউন্সিলের প্রতিনিধি এবং ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি নির্বাচনও অ্যাজেন্ডায় রয়েছে। আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের দুই সদস্য এবং ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের একজন প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন এই বৈঠকে। ভোট হবে মহিলা প্রিমিয়ার লিগ কমিটির জন্যও। একই দিনে নিয়োগ করা হবে ওম্বাডসম্যান ও এথিক্স অফিসার। গঠিত হবে স্ট্যান্ডিং কমিটি, ক্রিকেট কমিটি এবং আম্পায়ার্স কমিটি। বার্ষিক সাধারণ বৈঠকের আগে বিসিসিআই নেতৃত্ব বৈঠকে বসে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করবে। সচিব, যুগ্ম-সচিব ও কোষাধ্যক্ষ পদে বর্তমান পদাধিকারীরাই বহাল থাকতে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
তবে সভাপতি ও সহ-সভাপতির জন্য ভোট হবে নিশ্চিতভাবেই। সভাপতি পদ নিয়ে টানটান পরিস্থিতি। এখনও নাম চূড়ান্ত হয়নি। আলোচনায় রয়েছেন এক প্রাক্তন ক্রিকেটার ও এক প্রশাসক। বর্তমান সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা বড় দাবিদার হিসেবে উঠে আসছেন। সূত্র বলছে, তিনটি সম্ভাবনা রয়েছে, সহ-সভাপতি পদেই বহাল থাকা, সভাপতি পদে উন্নীত হওয়া, অথবা আইপিএল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ। যদিও সর্বাধিক সম্ভাবনা রয়েছে তিনি সহ-সভাপতির পদেই থাকবেন, তবে সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে প্রায় ৬০-৪০ অনুপাতে। আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলে ফিরতে পারেন প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধুরী। বাংলার অভিষেক ডালমিয়া, যিনি বর্তমানে গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য, তাঁকেও দৌড়ে দেখা হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসন্ন নেতৃত্ব বৈঠকের পরই জানা যাবে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বিসিসিআই সভাপতি হন সৌরভ গাঙ্গুলি। তারপর বোর্ডের সভাপতি হন ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী রজার বিনি। বর্তমানে সভাপতিত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
অস্থায়ী সভাপতির ভূমিকা পালন করছেন সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা। বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন বোর্ড সভাপতি বেছে নেওয়া হতে পারে। এখানেই ভেসে আসছে এক প্রখ্যাত ক্রিকেটারের নাম। তিনি কিংবদন্তি। তবে সেই ক্রিকেটার প্রস্তাব গ্রহণ করবে কিনা এখনও জানা নেই। সুতরাং, রাজীব শুক্লার বোর্ডের সভাপতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, বোর্ডের নির্বাচন হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। সর্বসম্মতভাবেই একজনকে বেছে নেওয়া হবে। সচিবের পদে থাকবেন দেবজিৎ সাইকিয়া। যুগ্ম সচিবের পদে রোহন গাউন্স দেশাই। কোষাধ্যক্ষ প্রভতেজ ভাটিয়া। আইপিএলের সভাপতির পদের জন্য দু'জনের নাম উঠছে। তালিকায় আছেন মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সচিব সঞ্জয় নায়েক এবং বোর্ডের বর্তমান সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা। আবার যদি তিনি আইপিএলের সহ সভাপতি হন, তাহলে বোর্ডের সহ সভাপতি হতে পারেন বিহার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাকেশ তিওয়ারি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জিতে প্রেমিকের ঠোঁটে ঠোঁট সাবালেঙ্কার, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল মুহূর্ত
