আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর প্রশ্নের মুখে গৌতম গম্ভীরের লাল বলের ক্রিকেটে কোচিং। প্রোটিয়াদের কাছে হারের পর সোজাসাপ্টা সাংবাদিক সম্মেলন করেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ। যা ভালভাবে নেয়নি বিসিসিআই। গম্ভীরের কোচিং প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। যদিও বোর্ড এখনও গম্ভীরের পাশে। তবে সেটা কতদিন থাকবে সেই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। ঘরের মাঠে টি-২০ বিশ্বকাপে খারাপ ফল হলেই ছাঁটাই করা হতে পারে গম্ভীরকে। হারের পর গম্ভীরের সাংবাদিক সম্মেলন শিরোনামে উঠে এসেছে। দলগত পারফরম্যান্সে জোর দেন তিনি। নিজের কাঁধ থেকে বন্দুক নামিয়ে রাখেন। বরং, দায় অন্যদিকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন গম্ভীর। যা ভালভাবে নেয়নি বিসিসিআই।
বিতর্কের মধ্যে গম্ভীরের ইডেন টেস্ট নিয়ে করা মন্তব্য ঘিয়ে আগুন ঢালে। টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচের বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে চটে গিয়েছেন বোর্ড কর্তারা। দলের ব্যর্থতার পাশাপাশি গম্ভীরের নানান মন্তব্য আরও সমস্যা তৈরি করেছে। গম্ভীরের বিরুদ্ধে সমর্থকদের ক্ষোভও বাড়ছে। টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচের হাতে বিশেষ সময় নেই। ঘরের মাঠে টেস্টে ভারতের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তিত বোর্ড। গম্ভীরের কোচিংয়ে ঘরের মাঠে একাধিক সিরিজ হেরেছে টিম ইন্ডিয়া। যা রবি শাস্ত্রী এবং রাহুল দ্রাবিড়ের জমানায় হয়নি। ব্যাটিং এবং বোলিং স্পেশালিস্টদের বদলে অলরাউন্ডারদের খেলানোর প্রবণতা বেশি গম্ভীরের। এই ট্যাকটিক্যাল পরিবর্তনে ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে গভীরতা কমেছে। যা পাঁচ দিনের টেস্টে অত্যন্ত জরুরি। পরের বছরের আগস্টের আগে ঘরের মাঠে কোনও টেস্ট সিরিজ নেই ভারতের। তাই এখনই গম্ভীরকে টেস্ট দলের কোচের পদ থেকে সরানো হচ্ছে না। সাদা বলের ক্রিকেটে সাফল্যের জন্য এখনও বিসিসিআইয়ের হাত তাঁর মাথায় আছে। তবে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ গম্ভীরের কাছে বড় পরীক্ষা।
