আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতে দাবা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এসে সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশের ৮০ বছর বয়সী দাবাড়ু সৈয়দা জসিমুন্নেসা খাতুন।
বাংলাদেশে তিনি রানি হামিদ নামে পরিচিত। দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল ওপেন গ্র্যান্ডমাস্টার্স চেস টুর্নামেন্টে অংশ নিতে এসেছেন তিনি।
কিন্তু হঠাৎই গতিপ্রকৃতি অন্যদিকে মোড় নিতে শুরু করে। পরিস্থিতি এমন হয়ে যায় যে এখন দারুণ এক সমস্যায় পড়েছেন হামিদ। টুর্নামেন্টে মন দিতে পারছেন না।
বয়সের জন্য হামিদ একা একা কোথাও যান না। তাঁর সঙ্গী হন ৩৭ বছর বয়সী অশিয়া সুলতানা। বাংলাদেশ থেকে একইসঙ্গে দুজনে দিল্লির বিমানে উঠেছিলেন। এত পর্যন্ত ঠিকই ছিল।
কিন্তু দিল্লিতে নামার পরই যত সমস্যা। হামিদ রানিকে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হলেও আশিয়াকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পত্রপাঠ দিল্লি ছেড়ে বাংলাদেশে ফেরত যেতে বলা হয়। ভারতের ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের
কালো তালিকায় রয়েছেন আশিয়া।
অভিযোগ আশিয়া আগেরবার মেডিক্যাল ভিসায় কলকাতায় এসে একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসা করাননি।
সঠিক তথ্য না দেওয়ায় আশিয়াকে সারা রাত দিল্লি বিমানবন্দরে থাকতে হয়। তাঁর ব্যাগপত্রও দেওয়া হয়নি। তাঁকে বাংলাদেশে ফিরে যেতে বলা হয়। পরের দিন সকালেই আশিয়াকে ফেরত পাঠানো হয় দেশে।
আর এই ঘটনাই বিড়ম্বনায় ফেলেছে হামিদকে। মানসিক দিক থেকে তিনি বিধ্বস্ত। সর্বভারতীয় স্তরের একটি সংবাদমাধ্যমকে রানি হামিদ বলেছেন, ''খুবই হতাশ আমি। আমার সঙ্গে যে এসেছিল তাকে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। গোটা রাত তাকে বিমানবন্দরের অভিবাসন দপ্তরে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। ওর ব্যাগপত্রও দেওয়া হয়নি। পরের দিন দ্বিগুণ টাকা দিয়ে রিটার্ন টিকিট কাটতে বাধ্য হয়।''
আর এই কারণেই প্রতিযোগিতায় মন বসাতে পারছেন না হামিদ। বেশি বয়সের জন্য বাড়ি থেকে একা বের হন না তিনি। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপ্পন করে হামিদ বলেন, ''আমি একা একা বাড়ি থেকে বের হই না। সঙ্গে কাউকে না কাউকে নিয়ে যাই। আশিয়া আমার সঙ্গেই এসেছিল। এখন ওকে ফিরে যেতে হয়েছে। আমি একা হয়ে গিয়েছি।''
বাংলাদেশের প্রথম মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার তিনি। হামিদ বলেন, ''আমি নিজে অনুরোধ করেছিলাম। বলেছিলাম যদি নিয়ম ভেঙে থাকে তাহলে জরিমানা ধার্য করুন। ওকে সাত দিন থাকতে দেওয়া হোক। ও তো কোনও অপরাধ করেনি।''
দিল্লি দাবা সংস্থার ব্যবস্থাপনায় দারুণ খুশি হামিদ। আয়োজকদের আতিথেয়তায় খুশি তিনি।
