আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিরাট কোহলির সঙ্গে বারবারই তুলনা টানা হয় বাবর আজমের। বেশ কয়েক বছর ধরে চলে আসছে এই ট্রেন্ড। এবার এর বিরোধিতা করলেন আহমেদ শেহজাদ। একটি সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্লেয়ার দাবি করেন, কারোর মধ্যেই এইধরনের তুলনা টানা উচিত নয়। এগুলো ভিত্তিহীন। এর ফলে প্লেয়ারদের ওপর চাপ বাড়ে। যা বাবরের লড়াই থেকেই স্পষ্ট। শেহজাদ বলেন, 'যখন সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, প্লেয়ারদের সঙ্গে তুলনা টেনে বিজ্ঞাপন করা হচ্ছিল। এখন যখন পারফরম্যান্স পড়ে গিয়েছে, তখন বলা হচ্ছে দু'জনের মধ্যে তুলনা চলে না। কেন নয়? বিরাট কোহলির সঙ্গে বিশ্বের কারোর তুলনা চলে না। ও এই প্রজন্মের কিংবদন্তি। আইডল। এমনকী ওর সঙ্গে এমএস ধোনির তুলনা করা যাবে না। ধোনি গ্রেট অধিনায়ক। কিন্তু ব্যাটার, ক্রিকেটার, অ্যাথলিট হিসেবে কোহলির ধারেকাছে কেউ নেই। কারোর সঙ্গেই কারোর তুলনা টানা উচিত নয়। কারণ এটা একজন প্লেয়ারের ওপর বাড়তি চাপ ফেলে। যা আমরা এখন বাবরের ক্ষেত্রে দেখছি। একটানা ফর্মে নেই। দীর্ঘদিন শতরান পায় না। অতিরিক্ত তুলনা ওর ওপর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।'
বেশ কয়েক মাস ধরে বাবরের ফর্ম নিয়ে চর্চা চলছে। ৭২টি আন্তর্জাতিক ইনিংসে শতরান নেই। নেপালের বিরুদ্ধে শেষবার একশো করেছিলেন। ২০২৩ সাল থেকে সেঞ্চুরির এত দীর্ঘ খরা আর কোনও ক্রিকেটারের হয়নি। ২০২৪ থেকে পাকিস্তান দলে একমাত্র বাবর এবং রিজওয়ানের স্ট্রাইক রেট ৮০ র নীচে। এরমধ্যে অধিনায়কত্বও খোয়ান বাবর। পাকিস্তানের রেজাল্ট এবং নিজের পারফরম্যান্সের জন্য নেতৃত্ব ছাড়েন। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে দ্বিপাক্ষিক একদিনের সিরিজ হারে পাকিস্তান। ৩৪ বছরের ইতিহাসে যা প্রথম। শেহজাদের এই মন্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, কিংবদন্তিদের সঙ্গে তুলনা প্লেয়ারদের ওপর চাপ বাড়ায়। এমন তুলনায় ফর্ম এবং আত্মবিশ্বাসও হারাতে পারে প্লেয়াররা।
এদিকে একদিনের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা। তবে তাঁদের লড়াইটা সহজ হবে না, মনে করছেন আকাশ চোপড়া। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে টিম ইন্ডিয়া। স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী দলে স্থান পাওয়া উচিত রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির। এখনও সরকারিভাবে একদিনের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রোহিত। কিছু রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, দেশের জার্সিতে সেটাই হতে পারে দুই মহাতারকার শেষ সিরিজ। ২০২৭ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এগোতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ইতিমধ্যেই টি-২০ এবং টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত এবং কোহলি। শুধু একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলবেন। কিন্তু চলতি বছর ভারতের খুব বেশি একদিনের ম্যাচ নেই। সুতরাং, মাত্র কয়েকটা ম্যাচ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে যথেষ্ট হবে কিনা সেই নিয়ে এখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
