আজকাল ওয়েবডেস্ক: কয়েকদিন আগেই ফিফাকে চিঠি দিয়ে আনোয়ার আলি মামলার নিষ্পত্তির আবেদন জানিয়েছিল মোহনবাগান। এবার এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন খোদ আনোয়ার। ফেডারেশনকে আইনি চিঠি পাঠিয়েছে তারকা ডিফেন্ডারের আইনজীবী। দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি চেয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে অনুরোধ আনোয়ারের। ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে আনোয়ারের আইনজীবী চিঠিতে লেখেন, 'আমার মক্কেলের নির্দেশে আমি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে এই আইনি নোটিস পাঠাচ্ছি। ফেডারেশনের অ্যাপিল কমিটিতে এই মামলা এখনও ঝুলে আছে। দীর্ঘদিন ধরে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এক বছরের বেশি সময় ধরে এই মামলা চলছে। চূড়ান্ত শুনানি হওয়ার মতো জায়গায় পৌঁছে যাওয়া সত্ত্বেও সেটা হয়নি। এর ফলে আমার মক্কেলের সমস্যা হচ্ছে। ফুটবল সম্প্রদায় এবং মিডিয়ায় কাছে ওর মানহানি হচ্ছে। এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চাইছে আমার মক্কেল।' 

কয়েকদিন আগে আনোয়ার ইস্যু নিয়ে ফিফার দ্বারস্থ হয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থাকে ছয় পাতার একটি চিঠি পাঠানো হয়। আনোয়ার ইস্যুতে ফেডারেশনের ওপর ক্ষুব্ধ মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। তাই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আনোয়ারকে নিয়ে দুই প্রধানের মধ্যে ঝামেলার এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। ইস্ট-মোহনের মধ্যে আইনি লড়াই এখনও চলছে। ফেডারেশনের কাছে এই বিষয়ে জানতে চায় মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনও সদত্তর পাওয়া যায়নি। বরং জানানো হয়, এই বিষয়টির সমাধানে যে অ্যাপিল কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেই কমিটির একজন সদস্য সরে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে সেই কমিটির আর অস্তিত্ব নেই। আবার নতুন করে কমিটি গঠন করতে হবে। যা সময়সাপেক্ষ। এটা শুনে প্রচণ্ড চটে যায় মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। আর কোনও দেরি না করে, ফিফাকে চিঠি পাঠায় মোহনবাগান। 

এক বছরের বেশি সময় ধরে এই মামলা চলছে। ১৩ নভেম্বর ফেডারেশনের অ্যাপিল কমিটি শুনানি পিছিয়ে দেয়। ১২ এবং ১৩ নভেম্বর শুনানি ছিল। কিন্তু চার সদস্যের কমিটির মধ্যে একজন পদত্যাগ করার শুনানি স্থগিত হয়ে যায়। আইনজীবী অশোক কুমার ত্রিপাঠীর জায়গায় এখনও কাউকে কমিটিতে নেওয়া হয়নি। কোরাম সম্পূর্ণ করে পরবর্তী শুনানি ২৮ এবং ২৯ নভেম্বর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির ৭৯ ধারা অনুযায়ী কোরাম সম্পূর্ণ না হওয়ায় বৈঠক করা সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত, ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি আনোয়ারকে চার মাসের জন্য নির্বাসিত করেছিল। পাশাপাশি ট্রান্সফার ব্যান করা হয়। আনোয়ার, ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসির মোহনবাগানকে ১২.৯ কোটি জরিমানা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট তাতে স্ট্যান্ড অর্ডার দেয়। ফেডারেশনের অ্যাপিল কমিটিকে নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেয়। ফিফার হস্তক্ষেপে এবার ফেডারেশনের টনক নড়ে কিনা সেটাই দেখার।