আজকাল ওয়েবডেস্ক: আফগান পেসার নবীন উল হক আর এশিয়া কাপে নামতে পারবেন না। কাঁধে চোটের জন্য তিনিই ছিটকে গেলেন এই টুর্নামেন্ট থেকে। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল টিম নিশ্চিত করেছে কাঁধের চোট পুরোদস্তুর সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি নবীন। ফলে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচে তাঁকে বাইরে রেখেই খেলতে নামবে আফগানিস্তান। নবীনের পরিবর্ত হিসেবে দলে এলেন আবদুল্লা আহমাদজাই। 

নবীন উল হক ৪৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ৬৭টি উইকেট নেন। ২০ রানে চার উইকেট, এটাই তাঁর সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। 

আফগানিস্তান বেশ ভাল শুরু করেছে এশিয়া কাপে। হংকং-কে ৯৪ রানে হারিয়েছে তারা। সেদিকুল্লাহ অটল এবং আজমাতুল্লা ওমরজাই ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলবে আফগানিস্তান। 

আরও পড়ুন: লন্ডন কাঁপাচ্ছেন বঙ্গকন্যা, টেনিস কোর্টে ১৬ বছরের তামান্নার রেকর্ড জানলে চমকে যাবেন

এ গ্রুপে দুটো ম্যাচ খেলে ভারতের পয়েন্ট ৪। বি গ্রুপে আফগানিস্তান এক ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেছে ২ পয়েন্ট। 

এশিয়া কাপের বল গড়ানোর আগে সব আলোচনা ভারতকে নিয়ে। এশিয়া কাপে আধিপত্য দেখাবে ভারত। সবাই এই বিষয়ে প্রায় একমত। হচ্ছেও তাই। আফগানিস্তানের কথা কেউ সেভাবে বলছেনই না। রশিদ খানের দল যে কোনও সময়ে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। আফগানিস্তান যে কোনও দলকে হারাতে পারে। রশিদ খান স্পিনার হলেও তাঁর মানিসকতা কিন্তু ফাস্ট বোলারের মতো। বলের পাশাপাশি তিনি ঝোড়ো ব্যাটিংও করতে পারেন। এশিয়া কাপে আফগানিস্তান যে কোনও মুহূর্তে ঝড় তুলতে পারে। 

এশিয়া কাপ এবার হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আফগান তারকারা বিদেশের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলে থাকেন। ফলে টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তান যে কোনও দলকে বেগ দেওয়ার ক্ষমতা ধরে। 
ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপ দারুণ গিয়েছে আফগানিস্তানের কাছে। ইংল্যান্ড, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার মতো দলকে হারিয়েছিল আফগানরা। অস্ট্রেলিয়াকেও প্রায় ছিটকে দিয়েছিল। কিন্তু গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। 

পরের বছর অনুষ্ঠিত  টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে  আফগানিস্তান পরবর্তী রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। 
কনিষ্ঠ ফরম্যাটে অত্যন্ত সফল দল হওয়ার জন্য বারুদ রয়েছে আফগানিস্তান দলে। এশিয়া কাপের জন্য দল ঘোষণা করে দিয়েছে  আফগানিস্তান। নেতৃত্বে রশিদ খান। ইব্রাহিম জাদরান, রহমানউল্লা গুরবাজ, মহম্মদ নবী এবং গুলবদিন নায়েবের মতো তারকারা রয়েছেন দলে। ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা তাঁরা ধরেন। বাংলাদেশের পরে ১৮ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে আফগানিস্তানের। সুপার ফোরে আফগানিস্তানের যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।  

আরও পড়ুন: 'ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটও খেলতে পারছে না পাকিস্তান', আফ্রিদিদের দেখে ভীষণ হতাশ শোয়েব