আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ইয়ো–ইয়ো টেস্টে বসতে হবে রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলকে। তবে বিরাট কোহলিকে এই টেস্টে বসতে হবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। 


প্রসঙ্গত, টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা। এবার ওয়ানডে সিরিজ থেকেও রোহিতকে ‘‌অবসর’‌ নিতে বাধ্য করা হবে?‌ জল্পনা চলছে। এরই মধ্যে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে ফের পরীক্ষায় বসতে হবে রোহিত শর্মাকে। তবে শুধু রোহিত নয়, এই পরীক্ষা দিতে হবে লোকেশ রাহুলকেও। তবে সম্ভবত এখনই পরীক্ষায় বসতে হবে না বিরাট কোহলিকে।


প্রসঙ্গত, আগামী অক্টোবরে তিন মাচের ওয়ানডে এবং তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাবে ভারত। সেই সিরিজে নাকি রোহিতের সামনে সম্মানজনক অবসরের একটা পথ খুলে দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, সিনিয়র দলের আগে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে ভারতের ‘এ’ দল। তারা ৩০ সেপ্টেম্বর, এবং ৩ ও ৫ অক্টোবর তিনটি ওয়ানডে খেলবে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে। ওই সিরিজে ভারতীয় দলে থাকতে পারেন রোহিত, এমনটাই শোনা যাচ্ছে।


কিন্তু তার আগে বোর্ডের ইয়ো–ইয়ো টেস্ট দিতে হবে রোহিতকে। একটি ক্রীড়া ওয়েবসাইটের খবর অনুযায়ী, ৩০ ও ৩১ আগস্ট বেঙ্গালুরুতে বিসিসিআইয়ের নতুন সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে পরীক্ষা দিতে পারেন ওয়ানডে অধিনায়ক। রোহিত ছাড়াও লোকেশ রাহুল ও আরও কয়েকজন ক্রিকেটারকে ইয়ো ইয়ো টেস্ট দিতে হবে। কিন্তু সম্প্রতি যে ব্রঙ্কো টেস্ট নিয়ে এত কথা হচ্ছে, তা কি চালু হবে? যা নিয়ে মনোজ তিওয়ারির মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারের অভিযোগ, রোহিতকে সরানোর জন্য এই পরীক্ষা আনা হচ্ছে। ফলে রোহিতকে ব্রঙ্কো টেস্ট দিতে হবে কি না, সেটাও আকর্ষণীয় বিষয় হতে চলেছে কিন্তু।

 

আরও পড়ুন: আইপিএল থেকেও অবসর নিলেন অশ্বিন, এবার কী করবেন জানালেন নিজেই 


কিন্তু বিরাট কোহলি কি ফিটনেস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বেঙ্গালুরুতে আসছেন? ওই সূত্রের মতে, এখনও পর্যন্ত সেটা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। কোহলি কবে পরীক্ষা দিতে আসবেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

এদিকে, অনলাইন মানি গেমিং নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেটাররা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছেন। এশিয়া কাপে হয়তো জার্সি স্পনসর ছাড়াই খেলবে ভারত। বর্তমানে ভারতীয় দলের জার্সি স্পনসর ড্রিম ইলেভেন। অনলাইন গেমিং বিল অনুমোদন হওয়ায় বড় ধাক্কা খেয়েছে ড্রিম ইলেভেন।
২০২৩ সালে ৩৫৮ কোটি টাকার বিনিময়ে জাতীয় দলের জার্সি স্পনসর হয় ড্রিম ইলেভেন। ২১ আগস্ট অনলাইন গেমিং বিল অনুমোদিত হয়। আর তাতেই অনলাইন মানি গেমিং নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ায় ড্রিম ইলেভেন বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। 

আইপিএল–ও মাই১১ সার্কেলের সঙ্গে ১২৫ কোটি টাকার চুক্তি করে বসে রয়েছে। নতুন আইনের পরে তা নিয়েও আশঙ্কা দেখা গিয়েছে। কেবল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড নয়, ব্যক্তিগত পর্যায়ে ভারতীয় ক্রিকেটাররাও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন। ক্রিকেট সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে স্পনসরশিপ চুক্তি বাতিল হওয়ার ফলে সম্মিলিতভাবে ১৫০–২০০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।