‘বিগ বস ১৯’-এর প্রতিযোগী ও জাতীয় স্তরের তায়কোন্ডো প্লেয়ার ফারহানা ভাটের টিম সম্প্রতি সঙ্গীত পরিচালক আমাল মালিকের পিসি/মাসি রোশন গ্যারি ভিন্দার, ‘ফিফাফুজ’ ইউটিউব চ্যানেল এবং ইউটিউব ইন্ডিয়া-র বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করেছে। অভিযোগ, তাঁদের প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত এবং প্রচারিত একটি সাক্ষাৎকারে ফারহানাকে উদ্দেশ্য করে মানহানিকর এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্য করা হয়েছে।
ফারহানার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওই ইউটিউব সাক্ষাৎকারে এমন কিছু বক্তব্য রাখা হয়েছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, ঘৃণাপূর্ণ এবং মানহানিকর। এমনকি সাক্ষাৎকারে ফারহানাকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, যা তাঁদের মতে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
প্রেস নোটে উল্লেখ করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট মন্তব্যের জন্য রোশন গ্যারি ভিন্দার, ‘ফিফাফুজ’ ইউটিউব চ্যানেল, এবং ইউটিউব ইন্ডিয়া-র উদ্দেশে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে দাবি করা হয়েছে—
অবিলম্বে ভিডিওটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।
প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
এবং ১ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ প্রদান, যা ফারহানার মানসিক ও সামাজিক ক্ষতির প্রতিকার হিসাবে দাবি করা হয়েছে।
পরিবারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “অন্য পক্ষ যেভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি এবং অনলাইন উস্কানির পথে গিয়েছে, আমরা তাতে না জড়িয়ে মর্যাদার সঙ্গে আইনি পথে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি।”
তাঁরা আরও জানান, এই মামলার কপি জাতীয় মহিলা কমিশন এবং মহারাষ্ট্র রাজ্য মহিলা কমিশন-এ পাঠানো হয়েছে, যাতে বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়।
ফারহানা ভাটের পরিবারের তরফে জনসাধারণ এবং সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে আহ্বান জানানো হয়েছে, “যাচাই না করা বা ঘৃণাপূর্ণ কনটেন্ট প্রচার করা থেকে বিরত থাকুন এবং চলমান আইনি প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন।”
বর্তমানে ফারহানা একজন অভিনেত্রী এবং পিস অ্যাক্টিভিস্টা হিসাবে পরিচিত। তিনি বর্তমানে ‘বিগ বস ১৯’-এর ঘরে প্রতিযোগী হিসাবে রয়েছেন। তাঁর উপস্থিতি ইতিমধ্যেই দর্শকদের নজর কেড়েছে।
ফারহানা পরিবারের পক্ষ থেকে করা এই আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে তাঁরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, মানহানিকর ও ঘৃণাবাচক মন্তব্যের বিরুদ্ধে তাঁরা আইনি পথেই প্রতিকার চাইবেন। পরিবারটি ইতিমধ্যেই জাতীয় এবং রাজ্য মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে এবং ভিডিওটির অবিলম্বে অপসারণ, প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনা ও ১ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। এখন নজর থাকবে, অভিযুক্ত পক্ষ এবং ইউটিউব কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ করে এবং মামলার পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া কোন দিকে এগোয়।
