আজকাল ওয়েবডেস্ক: যখন কারও চিকেন পক্স বা জল বসন্ত হয়, তখন শরীরে লাল দাগ দেখা দেয়। চিকেনপক্স ভ্যারিসেলা-জোস্টার ভাইরাসের কারণে হয়। এই রোগে সারা শরীরে লাল দাগ বা ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এই রোগ ছোঁয়াচে। বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সহজেই একজন থেকে অন্যজন সংক্রমিত হয়। চিকেন পক্স সেরে গেলেও এর দাগ দীর্ঘদিন পর্যন্ত থেকে যায়।

যদি কোনও ব্যক্তি চিকেনপক্স আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন, তাহলে তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ভারতীয়রা বিশেষ করে বাঙালিরা এই রোগকে 'মায়ের দয়া' বলা থাকে। অন্যান্য জায়গায় একে 'মাতা'ও বলা হয়। গ্রামবাংলায় এখনও চিকেন পক্স বা জলবসন্ত হলে দেবী শীতলার পুজো দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে।

ভারতে এই রোগকে ঈশ্বরের এক রূপ বলা হয়। আসলে, এই রোগটি মা শীতলার সঙ্গে সম্পর্কিত। শীতলা মা দুর্গার অন্য এক রূপ। মা শীতলা রোগ নিরাময় করেন। এক হাতে মা শীতলা ঝাড়ু এবং অন্য হাতে পবিত্র জলের পাত্র ধারণ করেন। তিনি পবিত্র জল দিয়ে রোগ ধ্বংস করেন।

এর নেপথ্যে একটি জনপ্রিয় পৌরাণিক গল্প আছে। জ্বরাসুর নামে এক রাক্ষস ছিল যে শিশুদের শরীরে প্রচণ্ড জ্বর দিয়ে প্রাণ কেড়ে নিত। মা কাত্যায়নী শীতলা মাতার রূপ ধারণ করে শিশুদের শরীরে প্রবেশ করেন। প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয় এবং ভিতর থেকে তিনি শিশুদের সুস্থ করে তোলেন। সেই থেকে বিশ্বাস করা হয় যে যখন কারও চিকেনপক্স হয়, তখন মা নিজেই শরীরে প্রবেশ করেন এবং ভেতর থেকে এই রোগ নিরাময় করেন। সেই জন্য এই রোগকে 'মায়ের দয়া' বা 'মাতা' বলা হয়।