অযাাচিত কোনও ব্যক্তির থেকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের টিপস নেবেন না। নিজে যাচাই না করে লগ্নি করবেন না। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’ (সেবি) সবসময় এই সতর্কবার্তা দিয়ে থাকে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে।
2
10
সেবির সতর্কবার্তা সত্ত্বেও ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকে অনেক ইনফ্লুয়েন্সারদের কথায় ভুলভাল জায়গায় বিনিয়োগ করে ফেলেন বাজারের নতুন বিনিয়োগকারীরা। এদের সমাজমাধ্যমে আর্থিক বিনিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা বা ফিনফ্লুয়েন্সার বলা হয়।
3
10
সাম্প্রতিক সময় এ রকম বহু ফিনফ্লুয়েন্সারে উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেবি। সম্প্রতি সেবি-র কোপে পড়েছেন ফিনফ্লুয়েন্সার অস্মিতা জিতেশ পটেল। জরিমানাও করা হয়েছে তাঁকে। কে এই অস্মিতা?
4
10
একটি সম্ভ্রান্ত গুজরাতি পরিবারে জন্ম অস্মিতার। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ট্রেডিংয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষকতার দক্ষতা রয়েছে তাঁর। বিনিয়োগ সংক্রান্ত শিক্ষায় অবদানের জন্য তিনি বেশ কয়েকটি পুরষ্কারও জিতেছেন।
5
10
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের উপদেশ দিয়ে 'শি উলফ অফ স্টক মার্কেট' শিরোপাও জুটেছিল। চারিদিকে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। লগ্নির উপদেশ দিয়ে আয় করেছেন ১০৪ কোটি টাকা।
6
10
সেবি জানিয়েছে, অনিবন্ধিত ভাবে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন অস্মিতা। তাই তাঁর আয় অবৈধ। সেই কারণে তাঁর ট্রেডিং স্কুল এবং চারটি সংস্থার কাছ থেকে ৫৩.৬ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে সেবি।
7
10
২০২০ সালে ‘অস্মিতা পটেল গ্লোবাল স্কুল অফ ট্রেডিং’ নামে একটি সংস্থা চালু করেন তিনি। খুচরো বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার বাজার সংক্রান্ত শিক্ষাকে সহজ করার লক্ষ্যে ওই সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন কোর্স বিক্রি করতেন তিনি।
8
10
সমাজমাধ্যমেও তাঁর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। ইনস্টাগ্রামে ৩ লক্ষ, ফেসবুকে ৭৩ হাজার, টুইটারে চার হাজার এবং লিংকডইনে প্রায় দুই হাজার অনুগামী রয়েছেন। তাঁর একটি ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। সেখানে পাঁচ লক্ষেরও বেশী অনুগামী রয়েছেন।
9
10
বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারী তাঁর পরামর্শে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে লোকসানের মুখ দেখার সেবি-র কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেবির ১২৮ পাতার তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, কী ভাবে তাঁর স্কুল টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত সুপারিশ করেছে অবৈধ ভাবে।
10
10
অস্মিতা এবং আরও পাঁচজনের উপর শেয়ার কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রায় ৫৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, তাঁর জবাবও তলব করা হয়েছে। কেন সেবি তাঁর ১০৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করবে না তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।