রাত পোহালেই রাস পূর্ণিমা। এই উৎসব রাসযাত্রা নামেও খ্যাত। জনশ্রুতি অনুযায়ী এই দিনেই নাকি বৃন্দাবন রাধাকৃষ্ণের রাসলীলায় মেতে উঠেছিল। মনে করা হয় এদিন কিছু বিশেষ টোটকা পালন করলে রাধাকৃষ্ণের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। ফেরে ভাগ্যের হালও। জীবন থেকে বাধা, বিপত্তি, অশান্তি, দাম্পত্য কলহ দূর করতে চাইলে রাস পূর্ণিমার দিন এই সহজ ১০ টোটকা পালন করুন। 
প্রথমত, রাধাকৃষ্ণের ছবি বা মূর্তি যদি বাড়িতে থাকে, তবে এদিন তাতে পুজো দিন। ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। ধূপ, ধুনো দিয়ে পুজো করুন। 
দ্বিতীয়ত, এই মূর্তিকে এদিন ভোগ নিবেদন করুন। চেষ্টা করুন ছানার কোনও মিষ্টি ভোগ হিসেবে দিতে। 
তৃতীয়ত, রাধাকৃষ্ণের মূর্তির বদলে যদি বাড়িতে তুলসী গাছ থাকে তাহলে সেটিকে পুজো করুন। হলুদ কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে দিন তুলসী গাছ। পরান হলুদ রঙের মালা। ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালাতে ভুলবেন না। 
চতুর্থত, এই দিন ব্রাহ্মণ ভোজন করানো অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। পাঁচজন ব্রাক্ষণকে এদিন বাড়িতে ডেকে নিরামিষ আহার করান। 
পঞ্চম, রাধাকৃষ্ণকে নতুন বস্ত্র পরান রাস পূর্ণিমার দিন। নিজেও নতুন কাপড় পরে পুজো করুন। 
ষষ্ঠ, যদি সম্ভব হয় এই দিন বাড়িতে সংকীর্তন দিন। এটি অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। 
সপ্তম, সংকীর্তন না হলেও গীতা পাঠ করুন। সকাল, বিকেল দুইবেলাই বাড়িতে গীতা পাঠ করুন।  এতে অশুভ শক্তি দূর হবে বাড়ি থেকে। 
অষ্টম, রাস পূর্ণিমার দিন চন্দ্রদেবের পুজো করুন। এদিন একটি নারকেলের গায়ে সাদা কাপড় মুড়ে তাতে সিঁদুর এবং আটার পাঁচটি ফোঁটা দিন। তারপর সেটি প্রবাহিত জলে ভাসিয়ে দিন। সাদা মিষ্টি অর্পণ করুন চন্দ্রদেবকে।
নবম, রাধাকৃষ্ণকে ডাবের জল অর্পণ করতে ভুলবেন না। মালপোয়া, লুচি, ক্ষীর কৃষ্ণের খুবই পছন্দের। তাই পাঁচ রকম ভাজা, মিষ্টি, ফলের সঙ্গে এগুলি নৈবেদ্যে দেবেন। 
দশম, একটা এক টাকার কয়েন নিয়ে গঙ্গার জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে তাতে সিঁদুর লাগান। এরপর ধান, দূর্বা এবং ফুল সহ এই কয়েনটি দেবী লক্ষ্মীর পায়ে অর্পণ করুন। সারাদিন দেবীর কাছে রাখুন এই কয়েন। সন্ধ্যায় এই কয়েন তুলে সিঁদুরের কৌটোতে রাখুন। পরদিন স্নান করে এই সিঁদুর সিঁথিতে দিন। দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদের এই সিঁদুর কাপড়ে মুড়ে আপনার বিছানার তলায় রাখলে দাম্পত্য জীবনের সমস্যা দূর হবে।