আজকাল ওয়েবডেস্ক: তীব্র তাপপ্রবাহে জেরবার ইউরোপের দেশ গ্রিস। দেশজুড়ে রেকর্ড তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনও অবধি তাপপ্রবাহে ছয় পর্যটক মারা গেছেন বলে জানা গেছে। অনেক পর্যটকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। প্রচণ্ড গরমে এথেন্স সহ বেশ কিছু জায়গার পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে দেশটি। এদিকে, গ্রিসের একাধিক দ্বীপ থেকে ছয় পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রত্যেকেই গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন গ্রিসে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে পর্যটকদের।
সর্বশেষ গত সোমবার গ্রিসের ক্রিট দ্বীপ থেকে এক জার্মান পর্যটকের দেহ উদ্ধার করা হয়। ৬৭ বছর বয়সী ওই জার্মান নাগরিক তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে গ্রিসে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি হাইকিং করতে চেয়েছিলেন। ক্রিট দ্বীপের ওমালস মালভূমি থেকে ২৪ কিলোমিটারের রাস্তা পায়ে হেঁটে তিনি জেলেদের গ্রামে যাওয়ার জন্য একাই রওনা দেন। যাওয়ার পথে স্ত্রীকে ফোন করে জানিয়েছিলেন তার শরীর ভাল লাগছে না। এরপর আর কথা হয়নি তাঁদের। পরে নিখোঁজ ডায়রি করেন স্ত্রী। সোমবার ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রসঙ্গই মৃত ছয়জনই হাইকিং করতে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও তিনজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এর মধ্যে আমেরিকার এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার এবং দু’জন মহিলা আছেন। তারা প্রত্যেকেই পঞ্চাশোর্ধ। এর আগে গত ৫ জুন গ্রিসের ক্রিটে ৬৭ বছর বয়সী এক ডাচ পর্যটকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। একই দিনে ৭০ বছর বয়সী এক ফরাসি পর্যটক ক্রিটের সিটিয়ায় সমুদ্র সৈকতে হাঁটার সময় অজ্ঞান হয়ে মারা যান। গত ৯ জুন সিমি দ্বীপে মাইকেল মোসল নামের এক চিকিৎসককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ৬৭ বছর বয়সী মাইকেল মোসল একজন টিভি উপস্থাপক ছিলেন। এছাড়া গত ১৩ জুন গ্রিসের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় শহর মালিয়ার কাছে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের কাছে ৮০ বছর বয়সী এক বেলজিয়ান বৃদ্ধকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
গত ১৯ জুন ক্রিটে আরেক ডাচ পর্যটক প্রাণ হারান। প্রসঙ্গত, গ্রিসের গরম উপভোগের জন্য বিখ্যাত জুন মাস। তাই জুন মাস থেকে গ্রিসে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ভিড় জমান। এবার জুন মাসে রেকর্ড তাপমাত্রা ছুঁয়েছে গ্রিস। এবার দেশটির বিভিন্ন স্থানে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
এই গরমে গ্রিক সরকার ‘লেভেল থ্রি হিট অ্যালার্ট’ জারি করে নাগরিকদের ফোনে স্বয়ংক্রিয় সতর্কবার্তা পাঠিয়ে বাড়িতে থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে। সেই সঙ্গে বাইরে কঠোর কাজকর্ম এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে। গ্রিসের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সে দেশে বিংশ শতাব্দীতে এরকম তাপপ্রবাহ দেখা যায়নি। তবে একবিংশ শতাব্দীতে বেশ কয়েকটি তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হয়েছে ইউরোপের দেশটি।
সর্বশেষ গত সোমবার গ্রিসের ক্রিট দ্বীপ থেকে এক জার্মান পর্যটকের দেহ উদ্ধার করা হয়। ৬৭ বছর বয়সী ওই জার্মান নাগরিক তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে গ্রিসে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি হাইকিং করতে চেয়েছিলেন। ক্রিট দ্বীপের ওমালস মালভূমি থেকে ২৪ কিলোমিটারের রাস্তা পায়ে হেঁটে তিনি জেলেদের গ্রামে যাওয়ার জন্য একাই রওনা দেন। যাওয়ার পথে স্ত্রীকে ফোন করে জানিয়েছিলেন তার শরীর ভাল লাগছে না। এরপর আর কথা হয়নি তাঁদের। পরে নিখোঁজ ডায়রি করেন স্ত্রী। সোমবার ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রসঙ্গই মৃত ছয়জনই হাইকিং করতে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও তিনজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এর মধ্যে আমেরিকার এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার এবং দু’জন মহিলা আছেন। তারা প্রত্যেকেই পঞ্চাশোর্ধ। এর আগে গত ৫ জুন গ্রিসের ক্রিটে ৬৭ বছর বয়সী এক ডাচ পর্যটকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। একই দিনে ৭০ বছর বয়সী এক ফরাসি পর্যটক ক্রিটের সিটিয়ায় সমুদ্র সৈকতে হাঁটার সময় অজ্ঞান হয়ে মারা যান। গত ৯ জুন সিমি দ্বীপে মাইকেল মোসল নামের এক চিকিৎসককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ৬৭ বছর বয়সী মাইকেল মোসল একজন টিভি উপস্থাপক ছিলেন। এছাড়া গত ১৩ জুন গ্রিসের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় শহর মালিয়ার কাছে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের কাছে ৮০ বছর বয়সী এক বেলজিয়ান বৃদ্ধকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
গত ১৯ জুন ক্রিটে আরেক ডাচ পর্যটক প্রাণ হারান। প্রসঙ্গত, গ্রিসের গরম উপভোগের জন্য বিখ্যাত জুন মাস। তাই জুন মাস থেকে গ্রিসে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ভিড় জমান। এবার জুন মাসে রেকর্ড তাপমাত্রা ছুঁয়েছে গ্রিস। এবার দেশটির বিভিন্ন স্থানে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
এই গরমে গ্রিক সরকার ‘লেভেল থ্রি হিট অ্যালার্ট’ জারি করে নাগরিকদের ফোনে স্বয়ংক্রিয় সতর্কবার্তা পাঠিয়ে বাড়িতে থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে। সেই সঙ্গে বাইরে কঠোর কাজকর্ম এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে। গ্রিসের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সে দেশে বিংশ শতাব্দীতে এরকম তাপপ্রবাহ দেখা যায়নি। তবে একবিংশ শতাব্দীতে বেশ কয়েকটি তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হয়েছে ইউরোপের দেশটি।
